আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে সোয়া ৫ একর অর্পিত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সলেমান গঙের বিরুদ্ধে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: সোয়া ৫ একর অর্পিত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের সলেমান গঙের বিরুদ্ধে। সরকারি অর্পিত সম্পত্তিতে থাকা বড়পুকুর নামের একটি জলাশয় জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে ইতঃপূর্বেও কয়েকদফা আত্মসাতের অপচেষ্টা করেছিলো বলেও গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। এই অপচক্রটি ওই সম্পত্তি ভূমি অফিস থেকে ক’দিন আগে খারিজ করার চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা বন্ধ রেখে তদন্ত শুরু করেছেন। গ্রামবাসী সরকারি এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে ৫ একর ২০ শতক জমির ওপর একটি বড় জলাশয় রয়েছে। বহু পুরাতন এ জমির প্রকৃত মালিক বহু আগে ভারতে চলে গেলে তা সরকারি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত হয়। বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু জানান, ৪৬ বছর ধরে সরকারি ওই পুকুর গ্রামের লোকজন লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে তার লভাংশ গ্রামের কয়েকটি মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে আসছে। আনুমানিক ১৭-১৮ বছর আগে বেলগাছি গ্রামের সলেমান ম-ল ও তকিম ম-ল সরকারি এ সম্পত্তির জাল দলিল তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করে। মামলার পর সরকারের পক্ষ হয়ে ভারত থেকে জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। এসব দলিলাদি আদালতে দাখিল করার পর বিচারের সলেমান গঙের দলিল জাল বলে প্রমাণিত হলে তারা মামলায় হেরে যান। পরে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে আপিল করে সেখানেও হেরে যান। সম্প্রতি এই গং নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সলেমানের ছেলে ফারুক জাল কাগজপত্র তৈরি করে আলমডাঙ্গা ভূমি অফিসে গিয়ে জমি খারিজের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর তিনি ওই ফাইল আটকিয়ে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান জানান, ওই জমি খারিজের জন্য তারা একটি আবেদন ভূমি অফিসে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাবার পর তিনি খারিজ ফাইলের কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও তিনি অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন।