আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৌরাত্ম্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৌরাত্ম্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান  ড. মিজানুর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। পুলিশের সমালোচনা করে ড. মিজান বলেন, আপনারা যাকে আটক করেন তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করুন। ৪-৫ দিন আগে ধরে আটকের পর কাগজ-কলমে দেখাবেন যে ২৪ ঘণ্টা আগে ধরা হয়েছে, এ তামাশা আপনারা করবেন না। এটা বন্ধ করুন। তিনি আরও বলেন, পেট্রোলবোমা কারা ফাটাচ্ছে তাদের আপনারা ধরতে পারেন না। এটা পুলিশের ব্যর্থতা। এদের বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতি সংঘাতকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সহিংসতা বলা যাবে না। এটা জঘন্যতম ফৌজদারি অপরাধ, সে বিবেচনায় একে নির্মূল করতে হবে। তা না হলে এটি রাজনীতি এবং রাষ্ট্রের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তাই সহিংসতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে আমরা রাষ্ট্রকে কঠোর হতে বলেছি। কিন্তু তাতে দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৌরাত্ম্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে। ফলে এদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এ পরিত্রাণ না পেলে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি নাটক-সিনেমায় অনুমতি ছাড়া পুলিশ দেখানো বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাটক-সিনেমায় পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করা যাবে না এমন সিদ্ধান্ত মুক্তচিন্তার পথে একটি অন্তরায় সৃষ্টি হলো। রাষ্ট্রের কতোটা মাথা খারাপ হলে এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান প্রমুখ।