অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ কী?

 

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন সেখানে বসবাসরত অভিবাসীরা। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। অভিবাসনের প্রক্রিয়া কঠোর করার দাবি তুলে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। অনেকেই এবারের নির্বাচনে তার এই ইস্যুকে ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেও বিবেচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নথিপত্রবিহীন ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী বসবাস করছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০ লাখ অভিবাসীকে বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কংগ্রেসের বিরোধিতা সত্ত্বেও ওবামা তার নির্বাহী আদেশে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এটা সুপ্রিমকোর্টে আটকে গেছে। বুধবার ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার খবর শুনে অভিবাসীরা বারাক ওবামার কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার। অভিবাসীদের সংগঠন ড্রিমস বলেছে, তারা আমেরিকা ছেড়ে কোথাও যাবে না। বুধবার টুইটারে ‘হেয়ার টু স্টে’ (আমরা এখানেই থাকতে চাই) হ্যাশটাগে বিপুলসংখ্যক পোস্ট করেছেন অভিবাসীরা। নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে শপথ নেয়ার পরপরই আমেরিকা থেকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ বের করে দেয়ার কাজ শুরু করবেন। এছাড়া অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে নতুন এক ধরনের ‘ট্রাকিং’ ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ বাহিনীতে আরও সদস্য নিয়োগের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার প্রচারণায় আরও বলেছেন, যেসব ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আমেরিকায় অবস্থান করছেন তাদেরও বহিষ্কার করা হবে। এ ধরনের লোকজনকে চিহ্নিত করে দ্রুত বহিষ্কারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করবেন বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে তিনি দেয়াল নির্মাণ করবেন এবং মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। এরপরই বোঝা যাবে তিনি অভিবাসীদের প্রতি কতটা কঠোর হতে যাচ্ছেন।