সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি আটক মিশনের দাদি সুফিয়ার
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপিকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার আব্দুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মিশন ইসলামকে গতপরশু আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে গতকাল তার দাদিসহ নিকটজনেরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, হত্যার উদ্দেশে আক্রমণের অভিযোগ মিথ্যা। তাকে রাহেলা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকট থেকে তুলে নেয়া হয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে মিশনের বয়স ১৪ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের জিনতলাপড়ার মেহেরুল ইসলামের ছেলে মিশন ইসলামকে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়। জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি আরামপাড়াস্থ নিজ বাড়ির অদূরবর্তী ক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির সামনে কয়েকজনকে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করতে দেখে দলীয় নেতাকর্মীরা সেদিকে এগিয়ে যেতেই কয়েকজন পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে মিশন। তার নিকট থেকে চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পুলিশে দেয়া হয়। পুলিশে দেয়ার সময় মিশন চাপাতিসহ ধরা পড়ার কথা স্বীকার করলেও পরে অবশ্য অস্বীকার করে বলে, তাকে রাহেলা খাতুন স্কুলের নিকট থেকে ধরে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
শনিবার চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিশন ইসলামসহ নিজাম শিকদার নওমিয়া ও জনি ওরফে অনিককে আসামি করা হয়েছে। মিশন ইসলামকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অপরদিকে মিশনের নিকটজনেরা পরশু সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। সেই সংবাদ সম্মেলন গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে মিশনের দাদি সুফিয়া খাতুন দাবি করেন, গত শুক্রবার বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা শেষে ভাত না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে মিশন। তাকে খুঁজতে গিয়ে বিকেল ৫টার দিকে রাহেলা খাতুন গার্লস স্কুল পার হয়ে দেখি কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে বলে ওকে ধর। তখনই তারা মিশনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জানতে পারি, মিশন হুইপ মহোদয়কে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি একেবারে মিথ্যা। মিশনকে ধরে নিয়ে পিটুনির পর হুইপকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ উপস্থিত জনগণের মাঝে জোরপূর্বক স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিশনকে ধরে নিয়ে পিটুনি দিয়ে হুইপকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেছে মিশনের পরিবার।