শর্তের বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিজিবি মতামত জানালেও বিজিপির সাড়া পাওয়া যায়নি
স্টাফ রিপোর্টার: টেকনাফ থেকে অপহৃত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ জন্য বাংলাদেশকে একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিজিবির টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিপির সাথে তিনবার আলোচনা হয় বিজিবির আলোচনায় রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিজিপি। আবুজার আল জাহিদ বলেন, বিজিপির পক্ষ থেকে রাজ্জাকসহ ৫৫৫ জন মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি অভিবাসীকেও ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে বিজিপির দেয়া শর্তের জবাবে বিজিবি বলেছে, রাজ্জাক এবং অভিবাসী ইস্যুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুটি আলাদা বিষয়। ৫৫৫ জন অভিবাসীর মধ্যে কয়জন বাংলাদেশি তা যাচাই-বাছাই করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আপাতত রাজ্জাককে ফেরত দিতে হবে। বিজিবি অধিনায়ক জানান, আমরা রাজ্জাককে ইমিডিয়েটলি ফেরত চেয়েছি। অভিবাসী ফেরতের বিষয়টি ভেরিফিকেশনের পর সুরাহার সিদ্ধান্ত বিজিপিকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন বুধবার টেকনাফের নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্ট সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির সময় নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে মায়ানমার নিয়ে যায় বিজিপি। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর অনলাইনে রাজ্জাকের ছবি প্রকাশ দকরা হয়।রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে বিজিবির পক্ষ থেকে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও সাড়া দেয়নি বিজিপি। তবে সোমবার সকালের তারা রাজ্জাকের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কথা বলে।
কক্সবাজার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আনিসুর রহমান জানান, আটক বিজিবি সদস্য নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। তিনি জানান, মিয়ানমারের বিজিপি কর্তৃপক্ষ আজ (সোমবার) তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছে।
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি আটক করে ছয়দিন ধরে আটক রেখেছে নায়েক রাজ্জাককে। এরই মধ্যে বাবা দিবসে বাবা হওয়ার খবর পেয়েছেন মিয়ানমারে আটক বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের মাধ্যমে এ বার্তাটি আবদুর রাজ্জাককে দেয়া হয়। বিজিপির পক্ষ থেকে ফিরতি বার্তায় জানানো হয়েছে বাবা হওয়ার খবরে আবদুর রাজ্জাক খুশি। এদিকে বাবা হওয়ার খবর পাওয়ার পর বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনায় দেখছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।