মা মরলো কেন প্রশ্ন তুলে সেবিকাসহ দুজনকে মারধর : ভাঙচুর

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তির আধাঘণ্টার মাথায় মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফিমেল মেডিসন ওয়ার্ডে এক রোগীর মৃত্যুর পর তার নিকটজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্টাফ নার্স মেহেরুন নেছাসহ একজন স্বেচ্চাসেবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। ভাঙচুর করেছে হাসপাতালের জানালার কাঁচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে চিকিৎসকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে রুখতে থাকে রোগীর লোকজন।

রোগীর লোকজনের অভিযোগ, অক্সসিজেন দিতে দেরি করার কারণেই রোগী মারা গেছে। এ কারণে রোগীর পাশে থাকা কিছু লোকজনের সাথে সেবিকার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঘটে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ ভাঙচুরের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রোগী মারা যাওয়ার পর একজনের মুখে ছিলো একটাই বুলি, মা মরলো কেন? উম্মাদের মতো আচরণ করতে করতে মারতে থাকে সেবিকাসহ স্বেচ্চাসেবীকে। ভাঙচুর করে জানালার কাঁচ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশে নালিশ করা হয়নি। সিভিল সার্জন বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া ইউনিনের রাজাপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী আকলিমা খাতুন (৬৬) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে মেডিসিন কনসাল্টেন্টকে দেখানো হয়। তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাড়ে ৫টার দিকে রোগী মারা গেলে তার নিকটজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেবিকাদের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ তোলেন। মারপিটসহ হাসপাতালকে এক রণক্ষেত্রে রূপান্তর করেন। একজন চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তার সাথেও মারমুখি আচরণ করা হয়। দৃশ্য দেখে কিং কর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়েন অন্য রোগী ও রোগীর লোকজন।