বেতারের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বেতারের আরো আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের গুরুত্ব পরিসীম। সুতরাং আমি আশা করি, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কলাকুশলীসহ বাংলাদেশ বেতার সংশ্লিষ্ট সবাই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বেতারের ৭৫ বছর পূর্তি ও ‘হীরক জয়ন্তী’ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতামূলক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশ বেতারের আরো আধুনিকায়নে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করবো। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ্ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজি আক্তার উদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী হীরক জয়ন্তী’র লোগো সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ বেতারের ৭৫ বছর পূর্তির চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত সৈয়দ আবদুস শাকের, প্রয়াত বেলাল মোহাম্মদ, প্রয়াত আবুল কাসেম সন্দীপ এবং আব্দুল্লাহ আল ফারুক যিনি মোহাম্মদ আমিনুর রহমান নামে পরিচিত, মোহাম্মদ রাশিদুল হোসেন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান, এএম শরফুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাজী হাবিব উদ্দিন আহমদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও মানপত্র তুলে দেন।

এছাড়া তিনি, বাংলাদেশ বেতারের হীরক জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাক টিকিটের মোড়ক উন্মোচণ করেন। তার সরকারের লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা নিশ্চিত, স্বাস্থ্য সেবা ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতি ও স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকশিত করা। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বেতার এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করবে।

বর্তমান যুগকে প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৌশলগত কারণে প্রযুক্তিগত এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপনার ধরন পরিবর্তন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কলাকূশলীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, বেতারের অনুষ্ঠানের মান বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপাদান, দেশপ্রেম ও শ্রোতা বৃদ্ধি করা তাদের দায়িত্ব ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বেতার আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে শিল্পীদের গড়ে তোলার একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের উত্পাদন ভিত্তিক, শিক্ষা, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন ও অসাধারণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষ্ঠানগুলো প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।