বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলো ঝিলিক রাতুল মাস্টারসহ মহুয়াদের স্টেজ শো : থাকলো কিছু স্মৃতি

চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গা বিশু শাহ বাউল একাডেমীর ৪ দিনের আয়োজনের শেষ দিনে আয়োজকদের দীর্ঘশ্বাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: সবই ঠিক ছিলো। বাধ সাধলো শুধু বৃষ্টি। ফলে ভেস্তে গেলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গার বিশু শাহ বাউল একাডেমীতে আসা একঝাঁক টিভি তারকার স্টেজ শো। ‘অতো কষ্ট করে এলাম, অথচ বাংলাদেশের দর্শকদের সাথে সরাসরি দেখা হলো না, কথা হলো না, কষ্ট নিয়েই ফিরতে হচ্ছে, বলুন তো ভালো কি লাগে? কষ্টমাখা কথাগুলো বললেন স্টার জলসার টাপুরটুপুর ধারাবাহিকের তারকা রাতুল মাস্টার। আর মা’ সিরিয়ালের ঝিলিক? দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার ক্লান্তি মুছে গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, ‘দুর্ছাই! আজকেই কেন বৃষ্টি হলো?’ আর মা চরিত্রে অভিনয় করা মহুয়া হালদার তথা প্রতিমা মুখার্জী? ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়িটা মুহূর্তেই যেন করে নিয়েছেন নিজের বাড়ি। বললেন, এবার শো না করে ফিরলেও শিগগিরই আসছি।

DSC02240

এবারের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গায় ৪ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গতকাল ছিলো শেষ দিন। এদিনের স্টেজ শো দেখার জন্য সন্ধ্যা থেকেই অসংখ্য দর্শকশ্রোতা ভিড় জমাতে থাকে। বজ্রগর্ভ মেঘ গুঁড়গুঁড় করে বৃষ্টি ঝরালেও ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু দর্শক। এরই এক পর্যায়ে আয়োজনের প্রাণপুরুষ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার মাইকে ঘোষণা দিয়ে বললেন, ঝড় বৃষ্টির মধ্যে অনুষ্ঠান হবে না। পরবর্তীতে প্রকৃতির মেজাজ মর্জি বুঝে স্টার জলসার ঝিলিকসহ সকলকেই আনা হবে। এ কথায় মঞ্চের উজ্জ্বলতা ম্লান হলেও দর্শকসাধারণ ফিরলেন পরবর্তীতে ওদের শো দেখার আশা নিয়ে। অবস্থা দৃষ্টে বৃষ্টিভেজা দর্শকদের কেউ কেউ মন্তব্য করতে গিয়ে বললেন, চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের আর কি দোষ? বিকেল থেকে প্রকৃতি যখন গোমড়া করলো মুখ, তখন তিনি আর আমাদের বিনোদন দিয়ে খুশি করবেন কীভাবে?

বিশু শাহ বাউল একাডেমীর স্টেজের বাতি নেভানো হলেও চেয়ারম্যানের বাড়িতে আইপিএস আর চার্জার বাতি জ্বালিয়েই বসানো হয় গানের আসর। চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক সঙ্গীত পরিবেশন করে বৃষ্টিস্নাত রাতের অংশটুকু করে তোলেন মায়াময়ী। মুন্সিগঞ্জের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর গানেও বিদ্যুতবিহীন বৃষ্টির কষ্ট তাড়িয়ে ফুটে ওঠে উৎসবের আমেজ। সংক্ষিপ্ত গানের আসর শেষে মধ্যরাত পর্যন্ত অতিথি শিল্পীদের হাসি-তামাশা, হইহুল্লোড় দু বাংলার অভিন্ন সংস্কৃতিরই যেন সাক্ষী হয়ে থাকেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন ও সম্পাদক পত্নী লুনা শারমীন শশীসহ উপস্থিত সকলে। নিশুতে অতিথিরা বলেন, স্টেজ শো হলো না, তাতে কি! আজকের রাতটা সকলের জন্যই স্মৃতি হয়ে রবে।