বিকেলে আল্ট্রাসনো করে বলা হলো সন্তান প্রসবের এখনও অনেক দেরি : রাতেই প্রসূতির সন্তান প্রসব

অবহেলায় অবশেষে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিকেলে আল্ট্রাসনো করে বলা হলো, সন্তান প্রসবের এখনও অনেক বাকি। রাতেই দেখা দিলো প্রসব বেদনা। ক্লিনিকে নেয়ার পর প্রন্তান প্রসবও হলো। কিন্তু বাঁচানো গেলো না। কেন? নবজাতকের পিতা চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়ার ইছানূরের অভিযোগ, ক্লিনিকের লোকজনকে ডাক্তার ডাকার জন্য বারবার বললেও তাতে সাড়া না দেয়ায় নবজাতককে বাঁচানো গেলো না।

জানা গেছে, গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার নিরাময় নার্সিং হোমে প্রসূতি বিলকিস খাতুনকে নেয়া হয়। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বিলকিস খাতুন সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ক্লিনিকের সামনে প্রসূতির স্বামী তথা নবজাতকের পিতা ইছাননূর অস্থির হয়ে ওঠেন। তার অস্থিরতা দেখে স্থানীয়দের অনেকেই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিলকিস খাতুনকে বিকেলে পূর্ব পরিচিত ঝন্টুর সাথে যোগাযোগ করি। তিনি প্রসূতিকে মোহনা ইসিজি অ্যান্ড আল্ট্রাসনো সেন্টারে নিয়ে আল্ট্রাসনো করার পরামর্শ দেয়। আল্ট্রাসনো করানোর পর যে রিপোর্ট দেয়া হয় তাতে বলা হয় সন্তান প্রসবের এখনও অনেক বাকি। এ কথা শুনে সন্ধ্যায় প্রসূতিকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। রাতে প্রবস বেদনা দেখা দিলে পুনরায় ঝন্টুণ্টুর সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তার নিরাময় ক্লিনিকে নেয়ার জন্য বলে। রাতে সেখানে নেয়ার পর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে চিকিৎসক ছাড়াই সন্তান প্রসব হয়। নবজাতকের চিকিৎসা দেয়া দরকার বলে ঝন্টুকে জানিয়ে চিকিৎসক ডাকার জন্য বারবার অনুরোধ জানানোর পরও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে রাত ২টার দিকে নবজাতক মারা যায়।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা এ তথ্য নিতে ক্লিনিকে গেলে উল্টো গরম শুনতে হয়েছে প্রসূতির স্বামী ইছানূরকে। তিনি বলেছেন, রাতেই প্রসূতিসহ নবজাতকের লাশ নিয়ে দ্রুত সরে পড়ো। না হলে খবর আছে।