বনায়ন ছাড়া অন্য খাতেও কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: বনায়ন খাতের জন্য নয়, বাংলাদেশ থেকে এই খাতের বাইরে নির্মাণ, সেবা, উত্পাদনসহ অন্যান্য খাতেও কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। এছাড়া শুধু পুরুষ নয়, নারী গৃহকর্মীও নিতে চায় দেশটি।

ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েমেরনেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকেএই আশ্বাস দিয়েছে।তবে কখন থেকে কিংবা কতো সংখ্যক কর্মী নেয়া হবে, সেবিষয়ে তারা সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কেন এতো কমসংখ্যক কর্মী যাচ্ছে, সেটিও দেশটি খতিয়ে দেখবে বলে তারা জানিয়েছেন।

তিনদিনের সফরে গতকাল দুপুরে কুয়ালালামপুর থেকে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়েঢাকায় পৌঁছান রিচার্ড জায়েম। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এরপর তিনিবাংলাদেশের নয় সদস্যদের প্রতিনিধিদলের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। বৈঠকেবাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দু মন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খুব সৌহর্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে।বৈঠকে আমরা বলেছি বাংলাদেশ থেকে আশানুরূপ লোক মালয়েশিয়া যাচ্ছে না। বনায়নখাতে যাওয়ার জন্য আমাদের ১৪ লাখ লোক নিবন্ধন করলেও গত ২০ মাসে মাত্র পাঁচহাজারের মতো লোক গেছে। আমরা মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেছি যেন তারা বনায়ন ছাড়াওঅন্যান্য খাতে লোক নেয়। তারা আমাদেরকে সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে। এ ছাড়াওতারা গৃহকর্মী নিতে চায়। দু দেশের সচিবের নেতৃত্বে এ ব্যাপারে একটি যৌথকমিটি হবে। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়াও সারওয়াক প্রদেশে তাদের১২ হাজার কর্মী লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বনায়ন খাতে যাওয়ার জন্য যে ১৪লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকেই ভবিষ্যতে অন্যান্য খাতে যাওয়ারসুযোগ পাবেন। তবে সবাই যেতে পারবেন এমনটি নয়। তাদের যত লোক লাগবে, ততোজনইযেতে পারবেন।’ মালয়েশিয়ার মন্ত্রী রিচার্ড জায়িম বলেন, ‘মালয়েশিয়া খুব দ্রুত উন্নয়নেরদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই উন্নয়নে বাংলাদেশের কর্মীদেরও অবদান আছে। আমরাবাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদেরমন্ত্রিসভাও সেবা, নির্মাণ, উত্পাদন এসব খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ারবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া আমরা বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিতে চাই। তবেআমরা তাদের গৃহকর্মী নয়, গৃহব্যবস্থাপক বলতে চাই।’

কবে নাগাদ এই কর্মী নেয়া হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিচার্ডবলেন, ‘এখনই সেটা বলা সম্ভব নয়। কারণ আমরা মাত্র প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’ মালয়েশিয়া কেন বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে এতো কম কর্মী নিচ্ছে, জানতে চাইলেতিনি বলেন, ‘সেটি আমরা খতিয়ে দেখবো।’ বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলসাহার বিন দারুসমান ও শ্রম বিভাগের মহাপরিচালক জাফরি বিন জোয়াকিমসহপ্রতিনিধিদলের বাকি আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষেঅন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামছুন নাহারসহঅন্যরা উপস্থিত ছিলেন।