নজর রাখুন কেউ যেনো আলবদর রাজাকারদের খপ্পরে পড়ে জঙ্গি না হয়

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় শ্রমিক লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ সম্পন্ন : অভিভাবকদের প্রতি হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি

সভাপতি আফজালুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল : ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। জাতীয় শ্রমিক লীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী শিরিন নাঈম পুনম এমপি, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরি সভাপতি ফজলুল হক মন্টু ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। এ সময় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আইন ও দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ ও জেলা ট্র্যাংকলরী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন।
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্তমান সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাসকে পুনরায় সভাপতি এবং রিপন মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত বলে নাম ঘোষণা করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট ও শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুজ্জামান লিটু। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মহিলা লীগের সভানেত্রী কহিনুর বেগমসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়র্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর যতো উন্নয়ন হয়েছে তার আগে এতো উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য কাজ করছেন। কেউ যেনো আলবদর রাজাকারদের খপ্পরে পড়ে জঙ্গি না হয়। জঙ্গি হয়ে বাঙালী হয়ে বাঙালির ঘাড়ে কোপ মারছে, রগ কাটছে, গলা কাটছে বিভিন্নভাবে হত্যা করছে। সেজন্য আমাদের সন্তাদেরকে বাড়ি থেকেই শিক্ষা দিতে হবে কেউ যেনো রাজাকারদের খপ্পরে না পড়ে। আলবদর আলসামসদের খপ্পরে পড়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালের আগে জাতি এক হয়েছিল। আজকে বঙ্গবন্ধু নেই। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তখন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জননেত্রীর বিরুদ্ধে ১৯ বার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন আন্দোলনের ডাক দেবেন তখনই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেনো জননেত্রীর হায়াত বাড়িয়ে দেন। প্রয়োজনে আমাদের হায়াত থেকে কেটে নিয়ে হলেও তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে যতো ফোঁস করুক, শেখ হাসিনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, ‘১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর সংগঠিত শক্তি লাগবে তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগ গড়ে তোলেন। প্রথম কমিটিতে নুরুল হককে সভাপতি এবং আব্দুল মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন। ৩০ হাজার শ্রমিক মক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ব্যাংক-বীমা জাতীয়করণ করলেন। ব্যাক্তির সম্পদ রাস্ট্রীয় হয়ে পড়লো। ৭১ সালের পরাজিত শক্তি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো। ২১ বছরের ইতিহাস লুন্ঠন করে পাচার করার ইতিহাস। এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনা দুই স্বৈরাচারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় বসলেন। শেখ হাসিনা নতুন করে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে চলেছেন তখন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করে হত্যার করার চেষ্টা করা হয়। এতে ২৪ জন নেতা-নেত্রী শহীদ হন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাতে জিয়া ৮নং ঘোষক ছিলেন। ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রথম বাংলা রাস্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে।