দৌলতপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা : গুলিবিদ্ধ ১

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আতিয়ার রহমান ওরফে আতাব্বুর (৬০) নামের বিএনপির এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিএনপির অভিযোগ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছেলে, ছোট ভাই ও সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করেছেন। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে করেছেন সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপির কর্মী আতিয়ার রহমান। গুলিবিদ্ধ আতিয়ারকে প্রথমে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বেলা ১২টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা পরিষদের বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মঙ্গল সরকার অভিযোগ করে বলেন, আগামী রোববার উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আল মামুনের পক্ষে এলাকায় কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী কাজ করছেন। সংসদ সদস্যের ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী ও ছেলে কলিংসসহ ২০-২৫ জন সশস্ত্র কর্মী গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৈরাগীরচর বাজারে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং বিএনপির কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আতিয়ার গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক অরবিন্দু পাল বলেছেন, রাত দেড়টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তার কোমরে গুলি লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা ভালো নয়।

তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য  রেজাউল হক চৌধুরী। দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদরগা গ্রামে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য বলেন, নিজেদের মধ্যে গোলমালের জের ধরে বিএনপির কর্মী আতিয়ার রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার সাথে তার ছেলে কলিংস ও ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী জড়িত বলে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তা ভিত্তিহীন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, আতিয়ার রহমান বৈরাগীরচর গ্রামের মৃত শেখ চাঁদ আলীর ছেলে। রাতেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।