দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌযান চলাচল ব্যহত: যাত্রীরা দুর্ভোগে

স্টাফ রিপোর্টার: বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি-লঞ্চসহ সকল ধরণের নৌযান চলাচল মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। শুক্রবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে নদীপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে সহস্রাধিক যানবাহন। ফলে ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহা-সড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত ৪কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের পাশাপাশি লঞ্চসার্ভিস বন্ধ থাকায় হাজার হাজার যাত্রী এসময় চরম দুর্ভোগ পড়েন।

জানা যায়, ঝড়ো বাতাসের কারণে রুটে চলাচলকারী রো-রো (বড়) ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। এ সকল ফেরিগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়া ইঞ্জিনের ক্ষমতা অনেকটা কমে এসেছে। এতেকরে ফেরিগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। মূলত এ ফেরি গুলোই বেশীর ভাগ যানবাহন নদী পার করে। স্বাভাবিক সময়ে রুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও শুক্রবার মাত্র সাতটি ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হয়। এতেকরে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ সহ¯্রাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে আছে।

পরিবহনের সুপারভাইজাররা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যানজটে আটকা পড়ে থাকায় সাধারণ যাত্রী, বিশেষ করে শিশু ও নারীরা চরম দুর্ভোগ পোহান। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝর কোমেনের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকায় পদ্মা নদীতে পনি উত্তাল হয়ে ওঠে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ও নদীর ঢেউ বাড়তে থাকলে  দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নৌযান চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এতেকরে নৌরুটে কেটাইপ ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরিগুলো চালু রেখে রোরো (বড়) ফেরিগুলো ঘাটেই নোঙ্গর করে রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে পরদিন শুক্রবার বেলা ৯টা পর্যন্ত নৌরুটের সকল প্রকার লঞ্চ চলাচল সম্পুর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া চালু হওয়ার পর তীব্র বাতাসের কারণে মাঝে মাঝেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে রোরো ফেরিগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ কারণে রুটে মাত্র ৭টি ছোট ফেরি চালু রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকে থাকা যানবাহনগুলো দ্রুত পার করা সম্ভব হবে।