দু জেলার মানুষের দুর্ভোগ : দ্রুত সংস্কারের দাবি

চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়ক ৪৩ কিলোমিটারের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী

 

রফিকুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের ৪৩ কিলোমিটারের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়কে যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে গাড়ির মালিক, চালক ও যাত্রীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর নিরাপত্তার অভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সড়কটি মেরামতের দাবি করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত সড়কপথের দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা অংশে ২৬ কিলোমিটার ভালো থাকলেও কুষ্টিয়া জেলা অংশের সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি থেকে বটতৈল পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। এছাড়া মিরপুর উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষের অন্যতম যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক এটি। সড়কের এ ১৭ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরপুর থাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে বেশিরভাগ মানুষ অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ঝিনাইদহ হয়ে কুষ্টিয়ায় যাতায়াত করে আসছে। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকেরা জানান, আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত সময় লাগার কথা ৫০ মিনিট অথচ সেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় যানবাহনের ড্যামারেজ হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের আজিজুল ইসলাম জানান, এ সড়কটি জুন মাস পর্যন্ত টেকসইয়ের মেয়াদ ছিলো। তার আগেই তা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন শিগগিরই টেন্ডার হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ওই ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের মানুষের হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কেনাকাটার জন্য জেলা সদরে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।

আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিন জানান, আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে শ শ যানবাহন চলাচল করে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার মাধ্যম এ সড়কটি। এজন্য সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এ সড়ক মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে ৪৩ কিলোমিটারের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অংশে ২৬ কিলোমিটার ভালো। কুষ্টিয়া অংশে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা খারাপের কারণে মানুষের দুর্ভোগ হয় বলে শুনেছি। শিগগিরই এ সড়ক পিএমপি (প্রায়োরিটি মেনটেনেন্স প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় মেরামত হবে বলে জেনেছি। চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার মানুষের দাবি অবিলম্বে এ সড়কটি যানচলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।