পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঈদ উপলক্ষে ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন ও ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নির্বিঘ্নে পারাপার নিশ্চিত করতে বুধবার সকাল থেকে এ রুটে ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচামাল, শিশুখাদ্য ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক এর আওতামুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম-কমার্স) জিল্লুর রহমান জানান,  প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদে এ নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন এবং যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থার মধ্যে ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে নৌরুটে ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তই  বুধবার  সকাল ৬টা থেকে কার্যকর করা হয়েছে। জিল্লুর রহমান আরো জানান, বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে যানবাহনে পারাপারে এ নৌপথে ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করার কথা বলেছিলেন নৌপরিহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এরই মধ্যে নয়টি রো রো (বড়), পাঁচটি ইউটিলিটি (মাঝারি) ও তিনটি কে-টাইপ (ছোট) ফেরি যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। বাকি একটি ইউটিলিটি ফেরি আজ-কালের মধ্যে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তা মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এদিকে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের যাত্রী পারাপারের জন্য মোট ৩৭টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। আর ঈদের কয়েক দিন আগ থেকেই এ চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঘাট এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। তাই ট্রাক বন্ধের পাশাপাশি ছোট গাড়ীগুলো এক পথ দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থাসহ ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তায় অস্থায়ী ডিভাইডার দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগের চেয়ে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো এবং টাস্কফোর্স গঠনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করা হয়েছে।