ঝিনাইদহে একর পর এক টার্গেট কিলিং মিশন ও কথিত বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনায় আতঙ্ক

 

বাঁশের লাঠি আর বাঁশিতে কাজ হয়নি : অপরাধদের ধরতে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে একের পর এক টার্গেট কিলিং মিশন এবং কথিত বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিফেন্স পার্টি গঠন করে বাঁশের লাঠি আর বাঁশি তুলে দিয়েও কোনো কাজে আসেনি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

তবে পুলিশ জানায়, এ সকল হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। সাধারণ জনগণকে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহে এ পর্যন্ত ৪জন টার্গেট কিলিংমিশনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ২জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং ২ জন পুরোহিত রয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সাথে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে ৩জন শিবির নেতা নিহতের ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম টার্গেট কিলিংমিশনের শিকার হন কালুহাটি গ্রামের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জমির উদ্দিন খাজা (৬৫) এরপর কালিগঞ্জের নিমতলা স্টান্ডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) এরপর একই উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলি (৭০) সর্বশেষ কিলিংমিশনের শিকার হন শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল বিগ্রহ মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস গোসাই (৫০)। এছাড়া আইনসৃঙ্খলা বাহিনির সাথে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে ঝিনাইদহের শিবির নেতা শহীদ আল মাহমুদ (২৫), আনিচুর রহমান (২৬), এবং ইবনুল ইসলাম পারভেজ (২৯) নিহত হয়েছেন। একের পর এক টার্গেট কিলিংমিশন ও কথিত বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনায় ঝিনাইদহে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, এ সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে। সাধারণ জনগণকে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।