চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে পানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ওয়াটার সেফটি প্লানবা পানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় পৌর মেয়রের সম্মেলন কক্ষে মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ডায়রিয়ার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ওই সময় পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পরীক্ষা করে তাতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পায় বিশেষজ্ঞদল। আরও মেলে মানুষের মলের উপস্থিতি। আর তাইতো পৌরবাসীকে সচেতন করতে এবং নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ওয়াটার সেফটি প্লানের কর্মসূচি ত্বরান্বিত করা হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাইরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগেই তারা এ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউ এচ ও )তত্ত্বাবধানেচুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও দরিদ্র মানব কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রকল্পের লক্ষ্য পৌর এলাকায় পানির উৎসে সম্ভাব্য দূষণ প্রতিরোধ এবং পরিশোধনের মাধ্যমে পানিতে বিদ্যমান দূষণের মাত্রা হ্রাস করে কাঙ্খিতমানের পানি সরবরাহ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং ব্যবহারের সময় খাবার পানির দূষণ প্রতিরোধ করা।

মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের মধ্য থেকে সনাতনি ভাব দূর করতে হবে। এখন আধুনিক যুগ, তাই একটু সচেতন হলেই রোগ-শোক থেকে অনেকটা মুক্ত হওয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ১৩ শতাধিক ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ৪/৫ দিন কষ্ট পেলো। এ দায় অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। আর তাই এখন আর এ বিষয়ে সভা, সেমিনার,ট্রেনিং করে সময় নষ্ট না করে মাঠে নেমে পড়তে হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আওতাধীন এলাকায় পানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। ফলে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি হ্রাস পাবে চিকিৎসা ব্যয়। সহযোগী বেসরকারি সংস্থা ১৭০টি পরিবারের মধ্যে জরিপ চালাবে। ব্যবস্থা করা হবে ৩ মাস পর পর সরবরাহ করা পানি পরীক্ষার।

সভার মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ূব আলী বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রকৌশলী নজিবর রহমান, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি)সাইদুর রশিদ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিএমডিএস’র টিম লিডার শামসুল আলম। এছাড়া পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা মাস্তার, শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার নিজ নিজ এলাকার বর্তমান অবস্থা আলোচনায় তুলে ধরেন।