চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক আহাদ আলীর জামিন না মঞ্জুর

 

মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে আদালতের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহাদ আলীর জামিন আবেদন না করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার জামিনের আবেদনটি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন এবং ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ  দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুল হক ও সুজাউদ্দিন ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আহাদ আলীর জামিনের আবেদনটির শুনানি করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. শামসুজ্জোহা জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। এছাড়া মানবাধিকার সংস্থা লোকমোর্চার সভাপতি সাবেক পিপি অ্যাড. আলমগীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল এবং মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার ভিকটিমের পক্ষে আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন।

ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে গত ৫ মে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আহাদ আলী জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে। এ ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্ত আহাদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। নাগরিক সংগঠন জেলা লোকমোর্চা ও মানবতা ফাউন্ডেশন নির্যাতিতাকে মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলী কর্তৃক ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। ওই ঘটনায় গত ৪ মে স্কুল প্রাঙ্গণে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। অভিভাবকদের হাতে গণপিটুনি খায় শিক্ষক আহাদ আলী।