চুয়াডাঙ্গায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভায় জেলা প্রশাসক

 

ভ্যাট সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার আহবান

স্টাফ রিপোর্টার: আসছে দেশে নতুন আইন, ভ্যাট হবে অনলাইন প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বিষয়ে ব্যবসায়ীগণকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করে জেলা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ।

জেলা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার অরুন কুমার বিশ্বাস। উপস্থাপিকা শিলা দাসের ছন্দময়ী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নীল রতন সাহা, জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের যগলু, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সমবায় নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাজি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, হোটেল-রেঁস্তোরা বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি তহিবুর রহমান জোয়ার্দ্দার, রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. নাজমুল আলম খানসহ কাস্টমসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সভার প্রথমে উপস্থিতিদের ভ্যাট সম্পর্কে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ধারণা দেন ঝিনাইদহ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা সাইফুল হক।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল লোকজন সাধারণত সরকারের যেকোনো পাওনা সবার আগে পরিশোধ করে থাকেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসন মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে কাস্টমসকে সহযোগিতা করে থাকে। বর্তমানে সরকার ভ্যাট পরিশোধ পদ্ধতি খুবই সহজ করে দিয়েছে। ঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ভ্যাট পরিশোধ করা যায়। আপনারা ভ্যাট সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন তা বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের নিয়মিত ভ্যাট প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

উন্মুক্ত আলোচনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ও ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাজী বজলুর রহমান। তারা বলেন, আমরা নিয়মিত ভ্যাট প্রদান করে থাকি। তবে ব্যবসায়ীদের অবস্থা অনুযায়ী ভ্যাট আরোপ করা হয় না। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিভাবে বেশি টাকা ভ্যাট দেবেন? সবচেয়ে ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে বেশি ভ্যাট আদায় হয়ে থাকে। বিভাগীয় শহরের তুলনায় জেলা শহরের ব্যবসায়ীদের অবস্থা অনুযায়ী ভ্যাট আরোপ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তারা।