গাংনীতে শিক্ষক-ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন প্রদান নিয়ে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষকদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। শাখা ম্যানেজার বিল্লাল হোসেনের অশোভন আচরণের জেরে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।
গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার জন শিক্ষক সোনালী ব্যাংক গাংনী বাজার শাখার মাধ্যমে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য বিল উত্তোলন করে থাকেন। গত জুন মাসের বেতন জুলাই মাসের ২ তারিখে এবং অন্যান্য ভাতা ৫ তারিখে ব্যাংকে জমা হলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের হিসাব নম্বরে জমা করা হয়নি।
এদিকে ঈদ মরসুমে কেনাকাটাসহ আনুসাঙ্গিক কাজের জন্য টাকা উত্তোলন করতে আসেন শিক্ষকরা। বেতন-ভাতা জমা হয়নি বলে ব্যাংক ম্যানেজার জানালে শিক্ষকগণ কারণ জানতে চান। এ বিষয় নিয়ে সোনালী গাংনী বাজার শাখার ব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেনের সাথে শিক্ষকদের বাগবিতণ্ডা বাধে। তিনি অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের পরামর্শ দেন। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে এর চেয়ে ভালো সেবা দেয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন শিক্ষকদের।
ব্যাংক ম্যানেজারের এমন ঘোষণায় শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্য কোনো তফশিলি ব্যাংকে হিসাব খুলে বেতন-ভাত উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ব্যাংক ম্যানেজার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা উনার মনগড়া। একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে তিনি শিক্ষকদের সাথে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। দ্রুত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ব্যাংক ম্যানেজারকে অনুরোধ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক গাংনী বাজার শাখার ম্যানেজার বিল্লাল হোসেন জানান, বিভিন্ন কাজের চাপে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পোস্টিং দেয়া হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে বেতন দেয়া হবে।