গাংনীতে নদীর অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : জরিমানা

গাংনী প্রতিনিধি: সচেতনতার মাধ্যমে নদীতে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের পর এবার কঠোর অবস্থানে মেহেরপুর গাংনী উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুরে নওপাড়ায় কাজলা নদীর বাঁধ মালিককে চার হাজার টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন স্থানের ১২টি বাঁধ উচ্ছেদ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের শুরুতেই কাজলা নদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে নওপাড়া বাজারের কাছে পৌঁছান ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যবৃন্দ। সেখানে একটি বাঁধ চোখে পড়ে। সেখানে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন নওপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। মাছের বংশ বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত ও দেশীয় মাছের প্রজনন মরসুমে মা মাছ নিধনের অপরাধে সিরাজুলকে ১৯৫০ সালের মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারক। আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে বাঁধ সরিয়ে নেয়া এবং জীবনে আর কখনো ওই অপরাধ না করার মুচলেকা প্রদান করেন সিরাজুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা পরিশোধ করে মুক্তি পান সিরাজুল।

এদিকে একই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কাজলা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ১২টি আড়াআড়ি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বাঁশ, খুঁটি ও জাল ধ্বংস করা হয়। অভিযানের আগেই পালিয়ে যায় বাঁধ মালিকরা। তবে তারা পুনরায় যদি বাঁধ দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কালাম, মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার ড. আসাদুজ্জামান মানিক ও গাংনী থানার এএসআই আনিছুর রহমান।

চলতি বর্ষা মরসুমের শুরুতেই মাথাভাঙ্গা, কাজলা, ছেউটিয়াসহ এ উপজেলার নদ-নদী ও সরকারি মালিকানা খাল-বিলে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারে মত্ত হয় এক শ্রেণির অসাধু মাছ শিকারি। প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতনতার মাধ্যমে বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু কয়েক দিন আগে আবারো বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার শুরু হয়।