খুনের দায়ে ইব্রাহিমপুরের জালুসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া আকন্দবাড়িয়ার কৃষক রবিউল হত্যামামলার রায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া আকন্দবাড়িয়ার কৃষক রবিউল ইসলামকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দু বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিজ্ঞ বিচারক বিপ্লব গোস্বামী মামলার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলো- দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুর গ্রামের তজু মণ্ডলের ছেলে জালু মণ্ডল (২৬), হায়দার আলীর ছেলে রতন আলী (৩২), দুলু মণ্ডলের ছেলে তুফান মণ্ডল (২৮) ও মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে বকুল উদ্দিন (৩৫), টেইপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রুস্তম হোসেন (৩৪) এবং আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মনি মোল্লার ছেলে আরিফ হোসেন (২৮)। আসামির মধ্যে লক্ষ্মীপুর গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে ফরিদ হোসেন আগেই মারা গেছে বলে আদালতসূত্রে জানা গেছে। দণ্ডিত আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে কৃষক রবিউল ইসলাম (৪২) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরদিন সকালে তাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে আকন্দবাড়িয়া জামতলা নামক স্থানে রবিউল ইসলামের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। ওই দিনই রবিউল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে দণ্ডিত আসামিরাসহ আটজন আসামির নামে ২০০৭ সালের ১২ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুভাষ সরকার চার্জশিট প্রদান করেন। এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করা হয়। মামলার আসামি রুস্তম আলী গ্রেফতার হওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামির স্বীকারোক্তি এবং অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণে চার্জশিটভুক্ত আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দু বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। পরে দণ্ডিতদের জেলা কারাগারে নেয়া হয়।