ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের বুকিং সহকারীসহ দুজন

স্টাফ রিপোর্টার: ট্রেনের টিকেটের দাম অতিরিক্ত নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েও ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের বুকিং সহকারী শিরিন শিলা। তিনি কম্পিউটার অপারেটর তুরাপের সহযোগিতায় টিকেট ক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। ৱ্যাব গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে টিকেট কাটতে গেলে তিনটি টিকেটেই অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। পরে ক্ষমা চেয়ে পার পান অভিযুক্তরা।

ট্রেনের টিকেট নেই। থাকলেও সিট নেই। এ কথা বলে ট্রেন ভ্রমণকারী তথা টিকেট ক্রেতাকে প্রথমেই ঘাবড়ে দেয়া হয়। পরে দাবি করা হয় অতিরিক্ত টাকা। টিকেট প্রতি কখনো ৫০ টাকা, কখনো ২০ টাকা, ঈদ মরসুমে শতাধিক টাকা দাবি করেন টিকেট বিক্রেতা তথা স্টেশনের বুকিং সহকারী। এভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার রমরমা কারবার চলে আলমডাঙ্গা স্টেশনেও। চুয়াডাঙ্গা স্টেশনেও পড়েছে তার ছোঁয়া। চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, সচেতন যাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৱ্যাব গোয়েন্দা বিভাগের তিন সদস্যের একটি দল গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে যাত্রী সেজে টিকিট কেনার জন্য কাউন্টারে দাঁড়ান। গোয়েন্দা দলের সদস্যদেরও সাধারণ ট্রেন ভ্রমণকারী ভেবে টিকিট বিক্রেতা তথা বুকিং সহকারী শিরিন শিলা জানিয়ে দেন সিট নেই। চ্যালেঞ্জ করলে তিনি কম্পিউটারের সিট আছে কি-না তাও দেখতে বলেন। এরপর তিনজন অনুনয় বিনয় করতে শুরু করেন। বলেন, আমাদের আজ রাতেই সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকায় যেতেই হবে। যে কোনো মূল্যে টিকিট দেন। এরই এক পর্যায়ে দালাল ভেড়ে পাশে। বুকিং সহকারী টিকিট প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বেশি দাবি করেন। তাতে রাজি হয়ে তিনজনই টিকিট নেন। এরপরই তিনজন নিজেদের ৱ্যাবের গোয়েন্দা দল বলে পরিচয় দিয়ে বুকিং সহকারী শিরিন শিলাকে নেন স্টেশন মাস্টারের কাছে। শিরিন শিলা ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। তখনই প্রশ্ন করা হয়, কম্পিউটারে টিকিট নেই তা দেখানো হয় কীভাবে? জানা যায়, কম্পিউটার অপারেটর তোরাপই কারসাজি করে ব্লক করে রাখেন। তাকেও ক্ষমা চেয়ে পার পেতে হয়েছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাদাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আর যাতে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার মতো ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা বাড়তি নজর দেয়া শুরু করেছি।