চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে খাবার পরিবেশনের করুণ দশা মাংসের বদলে চামচ মাখা ঝোল : ক্ষোভেও চোখরাঙানি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের দেয়া খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। যাচ্ছে তাই অবস্থা। এসব অভিযোগ উত্থাপন হলেও তেমন তদারকি না থাকার কারণে অবস্থা এখন এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তরকিই দেয়া হচ্ছে না। মাংসের বদলে দেয়া হচ্ছে মাংসের ঝোল। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ফিমেলে সার্জারি ওয়ার্ডের ১৪ জন রোগীর একজনের পাতেও পড়েনি মাংস। ঝোল? তাও দেয়া হয়েছে চামচ ছোঁয়ানোর মতো করে। অবশ্য পানি পানি ডালের বেলায় কমতি ছিলো না। বাটি ভরেই দেয়া হয়েছে ঘোলা জলের মতো ডাল। এসব দেখে রোগীদের কয়েকজন প্রতিবাদ করতে গেলে সেবিকা উল্টো চোখ রাঙিয়ে বলেন, বাড়িতে কোনোদিন খাওনি। হাসপাতালে এসে এখন খাবো খাবো করছো!

খাবার সরবরাহের দায়িত্বে নিযুক্ত ঠিকাদারের। বরাদ্দকৃত খাবার যথাযথভাবে রোগীরা পাচ্ছেন কি-না তা দেখার দায়িত্ব অবশ্যই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বদলায়, ঠিকাদারকে তেমন বদলাতে দেখা যায় না। কেন? সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের দাবি তিনিই দরপত্রে টেকেন। দায়িত্ব পালনে সিদ্ধহস্ত বলেই বোধ হয় টিকে থাকেন। অবশ্য অনেকের অভিযোগ উল্টো। তিনি মানসম্পন্ন ও পরিমাণ মতো খাবার সরবরাহে যতোটা আন্তরিক তার চেয়ে অনেক বেশি আন্তরিক সকলকে ম্যানেজে। ম্যানেজে যে ঠিকাদার যতো দক্ষ তিনিই তো টিকে থাকেন। এরকমই মন্তব্য করে গতকাল হাসপাতালের ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের রোগীদের মাংস না দিয়ে শুধু ঝোল দেয়ার দৃশ্য দেখে বলেছেন, দেখার কেউ না থাকলে যা হবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাই হচ্ছে। তা না হলে রোগীদের পাতে মাংস পড়ে না?