কালীগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য চরমে

জমির নামপত্তনে ১১শ টাকার রশিদ দিয়ে নিয়েছেন ১৮ হাজার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই ভূমি কর্মকর্তা জমির নামপত্তনের জন্য ১১শ টাকার রশিদ দিয়ে আনসার আলী নামে এক কৃষকের কাছ থেকে নিয়েছেন ১৮ হাজার টাকা। কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের কৃষক আনছার আলী বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চয়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এরকম ঘুষ বাণিজ্যের ফলে গ্রামের সাধারণ কৃষকরা টাকা দিতে দিতে হাফিয়ে উঠেছেন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে হয়রানি করা হচ্ছে। কালীগঞ্জের এসিল্যান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে কৃষক আনসার আলী জানিয়েছেন, কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন তার একটি জমির নামপত্তন করে দেয়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। তার দাবি অনুযায়ী কৃষক আনসার আলী ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিছুদিন পর জমির নামপত্তনের একটি পর্চা ও ডিসিআর কপি দেন। রশিদে উল্লেখ করা রয়েছে জমির নাম পত্তন বাবদ খরচ ১১৭০ টাকা। এরপর তিনি বাকি টাকা ফেরত চান। কিন্তু সেই টাকা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ফেরৎ দেননি। কোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে তিনি নামপত্তন করে দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কালীগঞ্জের কোলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার জানা মতে কোনো কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আমি গ্রহণ করিনি। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান ভূমি অফিস সরকারের সেবা বিভাগ। এখানে গ্রামের সহজ সরল মানুষ প্রতারিত হওয়ার খবরের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।