ইবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০১৫ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইসাথে ভোট কেন্দ্রে আরও চারটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৫ অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অনুরোধ সংবলিত ৫টি নির্দেশনা শিক্ষকদের জানানো হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষক এ নির্দেশনা না মানেন তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দেশনাগুলো হলো- ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন মোবাইলফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, ট্যাব সাথে রাখা যাবে না, পোলিং বুথের ভেতরে ভোট প্রদানের ব্যালট পেপার যথাযথভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে জমা দিতে হবে এবং কোনোভাবেই ব্যালট পেপার উন্মুক্ত করে অপরকে দেখানো যাবে না, ভোটকেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে, ভোট কেন্দ্রের পোলিং বুথের ভেতর একসাথে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করা যাবে না ও ভোট প্রদান শেষে কেউ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অহেতুক অবস্থান করবে না।

নির্বাচন কমিশন অফিসসূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪২৭ নং কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৫৯ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট গণণা শেষে ওই দিনেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষক সমর্থিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক প্যানেলের সাথে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আওয়ামী ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আ.ন.ম রেজাউল করিম (অর্থনীতি বিভাগ), সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু (ইংরেজি বিভাগ), সহসভাপতি পদে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান (ইংরেজি), যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল (আইন), কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি)। এছাড়া ১০ জন শিক্ষক সদস্য পদে লড়ছেন।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষক সমর্থিত প্যানেলে পদপ্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান (হিসাব ও তথ্য পদ্ধতি), সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. ওলিউল্লাহকে (দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস), সহসভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহ ফয়সাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান (আল হাদিস) ও কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান (আরবি ভাষা ও সাহিত্য)। এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ১০ জন শিক্ষক লড়ছেন।