আলমসাধু উল্টে আরোহী কিশোর শ্রমিক নিহত : আহত ২

সরোজগঞ্জ থেকে বাড়ি আলুকদিয়ার মনিরামপুরে ফেরার পথে ছয়মাইলে দুর্ঘটনা

 

স্টাফ রিপোটার: সরোজগঞ্জ এলাকায় কাঠমিস্ত্রির জোগালে হিসেবে কাজ শেষে বাড়ি আলুকদিয়া মনিরামপুর ফেরার পথে শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান আলমসাধু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে কিশোর শ্রমিক সালমিন (১৪)। গতরাত আনুমানিক ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জের অদূরবর্তী ছয়মাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারপাড়ার আরো দুজন কাঠমিস্ত্রি। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া মনিরামপুরের নাজমুল হোসেনের ছেলে সালমিন একই গ্রামের নানা দুলাল হোসেনের বাড়িতে থেকে বড় হয়ে উঠছিলো। পেটের তাগিদেই সে কাঠমিস্ত্রির জোগালে হিসেবে কাজ করতো। গতকাল বুধবার সকালে সে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে যায়। কাজ শেষে সে তার দু সহকর্মীর সাথে আলমসাধুযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ছয়মাইল নামকস্থানে আলমসাধুচালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। উল্টে পড়ে। আলমসাধুর চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় সে। তার সাথে থাকা আহত শ্রমিক দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারপাড়ার মৃত হারেজ মণ্ডলের ছেলে লিটন (৩০) ও একই মহল্লার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে হিরা (৩৫)।

আহত দুজন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে নেয়ার পর সালমিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তার নিকটজনেরা হাসপাতাল থেকে রাতেই লাশ আলুকদিয়ার মনিরামপুরে নেয়। ঘাতক আলমসাধুচালক সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে আলুকদিয়া মনিরামপুরের একাধিকসূত্র বলেছে, সালমিনের পিতা নাজমুল হোসেন ও মা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। সালমিন একই গ্রামের নানা দুলাল হোসেনের বাড়িতে থাকতো। কাঠমিস্ত্রির জোগালে হিসেবে কাজ করে দু বেলা দু মুঠো খাবার জোগাড় করতো। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো সে।