আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ায় দুই গরুচোরকে গণপিটুনি : একজনের হাত পায়ের রগ কর্তন অপরজনের চোখ উপড়ে নেয়ার চেষ্টা

 

আসমানখালী/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃজেলা জেলা গরুচোর চক্রের দু সদস্যকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এক চোরের দুই পা ও এক হাতের রগ কেটে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। অপর চোরের চোখ উপড়ে নেয়ার উপক্রম করে তারা। অন্য চোররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শনিবার গভীররাতে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক দু চোর হলো গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কাদের আলীর ছেলে আবদুল গফুর ও সাদেক আলীর ছেলে কালাম ওরফে তারা।

পুলিশ ও গ্রামসূত্রে জানা গেছে, ভাংবাড়িয়া গ্রামের ফকির আলীর ছেলে লিটন আলীর গোয়াল ঘরে ৫-৬ জনের একদল চোর হানা দেয়। তারা গোয়াল ঘরের বেড়া কাটার সময় লিটন টের পেয়ে যান। তিনি ঘরের ভেতরে বসেই গোপনে গোপনে গ্রামের বেশ কয়েকজনকে মোবাইলফোনে ডেকে সংগঠিত করেন। এরপর গ্রামবাসী চোরদের ধাওয়া করে। গ্রামের মাঠ থেকে গ্রামবাসী চোরদ্বয়কে ধরে ফেলে। এ সময় দু চোরকে গণপিটুনি দেয়া হয়। অভিযুক্ত চোর কালাম ওরফে তারার দুই পা ও ডান হাতের রগ কেটে দেয় গ্রামবাসী। এছাড়া অপর চোর গফুরের একটি চোখ উপড়ে নেয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোর ৪টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালসূত্রে জানা যায়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন মাথাভাঙ্গাক জানান, আহতরা আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য। তাদেরকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক লিটন বাদী হয়ে চোরদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।