আন্দুলবাড়িয়া-সন্তোষপুর সড়কে ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেফতার

 

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে ডাকতির সাথে জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবীরের নির্দেশে থানার সেকেন্ডে অফিসার এসআই লুৎফুল কবীর, এএসআই আশরাফ আলী ও এএসআই সিরাজ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গোবরগাড়া গ্রামের হান্নান (২৮) ও সাইদুর রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করেন। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত দু দিনে এ মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো চার।

জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে হান্নান ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের সশস্ত্র মুখোশধারী একদল ছিনতাইকারী সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের একতারপুর নামক স্থানে সড়কে গাছ ফেলে ট্রাক, পিকআপ, মিশুক ও আলমসাধুসহ অর্ধশতাধিক যানবাহন আটক করে ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনতাই করে।

থানাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জলিল সিকদারের ছেলে হান্নান, খাসপাড়া গ্রামের আবুল খা ছেলে সাইদুর, ইউনুছ আলীর ছেলে সাইদুর ও জীবননগরের উথলী ইউনিয়নের ঝন্টুকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। উথলীর ঝন্টুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পেয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। বাকিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে আদালতে। পুলিশ বলেছে, চক্রটি জেলার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই-ডাকাতির সাথে জড়িত। এদের নামে কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, আন্দুলবাড়িয়া-সরোজগঞ্জ সড়কে কয়েক মাস পূর্বে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইচক্র একটি আলমসাধুসহ যাত্রী সাধারণের সর্বস্ব ছিনতাই করে নির্বিঘে স্থান ত্যাগ করে। আলমসাধুচালক এদের চিনে ফেলায় পরদিন সরোজগঞ্জ বাজারে আলমসাধুচালকগণ ধর্মঘট ডেকে এদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানান। ধর্মঘটকারী আলমসাধু চালকরা ওই গ্রামের কয়েকটি আলমসাধু আটক করে রাখে। পরে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা গ্রেফতারকৃতদের নিকট আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছিনতাইকারীদের আড়াল করে আলমসাধুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে রেহাই পায়। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

সূত্র আরো জানায়, চক্রটির কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে কয়েকজন সুবিধাভোগী ব্যক্তি গতকাল বৃস্পতিবার সকাল থেকে জীবননগর থানা এলাকায় তদবির নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। আটককৃতদের ছাড়াতে তাদের সাধারণ নিরীহ কৃষক দাবি করে পুলিশের ওপর নানা চাপ সৃষ্ট করে। অবশেষে পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অন্যান্য থানায় অভিযোগ থাকার তথ্য পেয়ে তাদের সকল দেনদরবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।