আগামী বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের পাঁচ সদস্যের টিম আসছে

চুয়াডাঙ্গায় চোখের ছানি অপারেশনে ২০ রোগী চোখ তুলে ফেলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হেলথ কেয়ার সেন্টারে ২০ রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের পর একটি করে চোখ তুলে ফেলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আজ প্রতিবেদন জমার কথা থাকলেও জমা দেয়নি। এদিকে উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে তদন্ত করবে। ওইদিন সমস্ত রোগীকে হেলথ সেন্টারে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। একই সঙ্গে রোগীদের যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়াসহ সমস্ত ব্যয় বহন করার জন্যও বলা হয়েছে ওই হেলথ সেন্টারকে। ১২ এপ্রিলের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জপাড়ায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে গত ৫ মার্চ ২৪ রোগীর চোখে ছানির অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন তারা। ২০ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে ২০ নারী-পুরুষের ইনফেকশনের চোখগুলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়। ২৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চক্ষু কনসালটেন্ট ডা. শফিউজ্জামান সুমনকে। ওই তদন্ত কমিটিকে ২ এপ্রিলের মধ্যে সিভিল সার্জন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ২ এপ্রিল সোমবার তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত প্রায় শেষ পর্যায়ে। কাল মঙ্গলবার (আজ) আমি হাতে পাবো।
সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট) মো. মিজানুর রহমানকে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল-২’র উপপরিচালক মো. নূরুল ইসলামকে। কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক (চক্ষু) ডা. সাইফুল্লাহ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ বিন শহিদ ও মহাখালীর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নূরুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম জানান, ৫ এপ্রিল ওই কমিটি চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে তদন্তে আসবে। ওইদিন ক্ষতিগ্রস্ত সকল রোগীকে হাসপাতালে তদন্তদলের কাছে উপস্থিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রোগীদের আসা-যাওয়ার খরচ, তাদের খাওয়া দাওয়াসহ সমস্ত ব্যয়ভার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারকে বহনের জন্য বলা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের এ তদন্তটিম আগামী ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।