শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়লো ভারত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেন ভুবনেশ্বর কুমার, মাঝারি লক্ষ্য পেলো ভারত। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতক করলেন বিরাট কোহলি, ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের দেয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত। প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উপুল থারাঙ্গার ঝড়ো ব্যাটিঙের পরও ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপরই সেরা জুটিটা পায় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নে-অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস মিলে তুলেন ১২২ রান। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দুই ব্যাটসম্যান দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান দলকে। অর্ধশতকের পর ফিরে যান দুইজনই। দায়িত্ব নিতে পারেননি পরের কোনো ব্যাটসম্যান। স্বাগতিদকদের শেষের ঝড় তুলতে দেননি প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেয়া ভুবেনেশ্বর কুমার। তার দারুণ বোলিংয়ে ৫৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে আড়াইশ পর্যন্ত যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ভুবনেশ্বর। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। সিরিজ সেরা হয়েছেন আরেক পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এই ম্যাচের দুটিসহ সব মিলিয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ৫ ম্যাচের সিরিজে এতো উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব নেই আর কোনো পেসারের। যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আকিলা দনাঞ্জয়ার স্টাম্প ভেঙে অনন্য এক কীর্তি গড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে স্টাম্পিংয়ের শতক!

মাঝারি পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের লড়াইয়ের শুরুটা ছিলো দারুণ। ২৯ রানের মধ্যে ফেরত পাঠিয়েছিলেন অজিঙ্কা রাহানে ও আগের দুই ম্যাচে শতক পাওয়া রোহিত শর্মাকে। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন কোহলি। শুরুতে অধিনায়ককে সঙ্গ দেন মনিশ পান্ডে। দুই জনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। ৫৩ বলে অর্ধশতক পাওয়া কোহলি খেলে গেছেন একই ছন্দে। ১০৭ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে। ওয়ানডেতে ৩০তম শতকে বসেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পান্টিংয়ের পাশে। তাদের চেয়ে বেশি শতক আছে কেবল ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের (৪৯)।  লক্ষ্য তাড়ায় বরাবরই দুর্দান্ত ভারতের অধিনায়ক। এদিনও ঠাণ্ডা মাথায় সামলালেন লঙ্কানদের পেস-স্পিন। কেদার যাদবের সঙ্গে উপহার দিলেন ১০৯ রানের চমৎকার এক জুটি। ৬৩ রান করে কেদারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ধোনি। ৯ উইকেটে জেতা প্রথম ম্যাচে ব্যাটই করতে হয়নি। পরের চার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে এনিয়ে চতুর্থবার থাকলেন অপরাজিত। ১ রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেয়া কোহলি অপরাজিত থাকেন ১১০ রানে। তার ১১৬ রানের ইনিংসটি গড়া ৯টি চারে। ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী, সিরিজ: ৫-০ ব্যবধানে জয়ী ভারত, ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভুবনেশ্বর কুমার, ম্যান অব দ্য সিরিজ: জাসপ্রিত বুমরাহ।