রুটের দ্বিশতকে বিপাকে পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রুটের দ্বিশতকের কল্যাণে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। রুটের ক্যারিয়ার সেরা ২৫৪ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৮৯ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে। ফলোঅন এড়াতেই আরো ৩৩৩ রান করতে হবে তাদের। ম্যাচের প্রথম সকালে প্রথম আধঘণ্টাতেই মাঠে নেমেছিলেন রুট। আউট হলেন দ্বিতীয় দিন চা-বিরতির খানিক পর। ১০ ঘণ্টা ১৪ মিনিটে ৪০৬ বলে ২৫৪। স্ট্রাইক রেট প্রায় ৬৩, কিন্তু ছিলো না চার-ছক্কার ফুলঝুরি। দারুণ নিয়ন্ত্রিত ইনিংসটায় ১০৮ রান নিয়েছেন বাউন্ডারি থেকে (২৭টি চার), সমান ১০৮ রান নিয়েছেন সিঙ্গেলে! ১৪১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন রুট। ক্রিস ওকসের সাথে পঞ্চম উইকেট জুটি এদিন সকালেও ভোগায় পাকিস্তানকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে ওকস ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসির শাহকে। লাঞ্চের আগে পাকিস্তানের সাফল্য ১০৩ রানের ওই জুটি ভাঙাই। লাঞ্চের পর রুট ছুঁয়ে ফেলেন দ্বিশতক। ইয়াসিরকে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারিতে মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৫৫ বলে। টেস্ট ক্যারিয়ারে যেটি তার দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। আগেরটি ছিলো দু বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডসে ঠিক অপরাজিত ২০০। রুটের ডাবল সেঞ্চুরি শটেই রান দেয়ার দ্বিশতক পূর্ণ হয় ইয়াসিরের!

চোট কাটিয়ে ফেরা বেন স্টোকস শুরু করেছিলেন ভালো। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজকে উইকেট উপহার দেন ডাউন দ্য লেগ ক্যাচ দিয়ে। তবে পাকিস্তানের স্বস্তি মেলেনি। জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে রানের গতিতে জোয়ার আনেন রুট। শেষ পর্যন্ত ওয়াহাব রিয়াজকে আকাশে তুলে রুট থামলেন চা-বিরতির পরপর। রুটের ২৫৪ রানের আগে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল একটিই। ১৯৫৮ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ডেনিস কম্পটনের ২৭৮। রুট বিদায় নিলেও খেলা চালিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টো ৫৮ রানে আউট হলে ইনিংস ঘোষণা করেন অ্যালেস্টার কুক। ততক্ষণে ইংল্যানড পেয়ে গেছে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড পুঁজি। আগের টেস্টে দলকে জেতানোর নায়ক ইয়াসির দেখলেন মুদ্রার উল্টোপিঠ। ৫৪ ওভার বল করে মাত্র ৬টি মেডেন, ২১৩ রানে জুটেছে মোটে একটি উইকেট। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ইতিহাসে এই প্রথম ২শ রান গুণল কোনো বোলার।

আগের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিন গ্রেট বিল ও’রিলি। ১৯৩৪ অ্যাশেজে দিয়েছিলেন ১৮৯ রান। পাকিস্তানের বোলারেদের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে সবচেয়ে খরুচে আগে ছিলেন ফজল মাহমুদ। ১৯৬২ সালে ওভালে ৪৯ ওভারে গুণেছিলেন ১৯২ রান।