নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয় সেশনের খেলা যখন শেষ হলো নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের মনেও হয়তো জয়ের ভাবনাটা ছিলো না। দু সেশন মিলিয়ে তখন পর্যন্ত পাকিস্তানের মাত্র একটি উইকেটই তুলে নিতে পেরেছিলেন স্বাগতিকরা। আজহার আলী ফিরে গেলেও একপ্রান্তে খুটি গেড়ে বসেছিলেন সামি আসলাম। এরপরও কি টেস্টের শেষ সেশনে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের চিন্তা করা যায়! উইলিয়ামসন ভাবুন আর নাই ভাবুন, হ্যামিল্টনে শেষ পর্যন্ত কিন্তু নিউজিল্যান্ডই জিতেছে। শেষ সেশনে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৮ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এ জয়ে দু টেস্ট ম্যাচের সিরিজটাও জিতে নিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সেইসঙ্গে ১৯৮৫ সালের পর এ প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে সিরিজ জিতলো কিউইরা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ সিরিজ খেলে একটাও জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। সাতটিই জিতেছে পাকিস্তান। বাকি পাঁচটি ড্র হয়েছে।

এই সিরিজও ড্র দেখছিলো প্রায় সবাই। বিনা উইকেটে ১ রান নিয়ে মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। শুরু থেকেই দু ওপেনার সামি আসলাম আর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আজহার আলীর প্রতিরোধ। প্রথম উইকেটেই ১৩১ রান তুলেছেন সামি-আজহার। আর এর জন্য ৩৬০ বল খেলেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। বলের হিসেবে যেটা কিনা পাকিস্তানের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় আজহার আলী ফেরার আগে ১৬১ বলে ৫৮ রান করেছেন। অপর প্রান্তে সামি আসলাম অবিচলই ছিলেন। দিন শেষে অবশ্য হতাশা নিয়েই থাকতে হয়েছে ২০ বছর বয়সী ওপেনারকে। দল তো হেরেছেই নিজেরও মাত্র ৯ রানের জন্য টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি। ২৩৮ বল খেলে ৯১ রান করে ফিরেছেন সামি। তার আগে বাবর আজম ফিরে যান ১৬ রানে। এরপরই যেন বালির বাঁধে মত ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ২৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। মজার ব্যাপার হলো পাকিস্তান যখন শেষ উইকেট হারালো দিনের খেলা বাকি ছিলো দু ওভার মতো। এই সময়টুকু কাটিয়ে দিতে পারেনি সফরকারীরা।

পাকিস্তানের হঠাৎ এই ধসে ভূমিকা রেখেছে নিউজিল্যান্ডের স্পিন-পেস দু বিভাগই। স্পিনার নেইল ওয়াগনার ৩টি ও মিচেল স্যান্টনার ২টি উইকেট দখল করেছেন। এছাড়া ৬০ রানে ২ উইকেট দখল করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন টিম সাউদি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট দখল করেছিলেন এই কিউই পেসার।  সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী।