নারায়নগঞ্জের খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে আপত্তি : ফরিদপুর জেলা দলের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা ভেন্যুর অনুর্ধ-১৫ জাতীয় ফুটবলের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোল উৎসব

 

স্টাফ রিপোর্টার: সেইলর-বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চুয়াডাঙ্গা ভেন্যুর দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোলোৎসব করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলাদল। ৯-০ গোলে ফরিদপুর জেলা দলকে পরাজিত করেছে নারায়নগঞ্জ জেলা দল। নারায়ণগঞ্জের ইব্রাহিম হ্যাটট্রিকসহ ৪টি, ইমরান ২টি, আল-আমিন, নবী ও সাহাদ ১টি করে গোল করে। খেলায় গোল উৎসব হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা দলের খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে ওঠে নানা সমালোচনা। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে আগত ফুটবলপ্রেমী দর্শক ও ফরিদপুর জেলা দলের কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ জেলাদলের খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে সন্দিহান প্রকাশ করে বলেন, সে দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের বয়স ১৭ বছরের বেশি। অথচ তৃণমুল পর্যায়ের মেধাবী ফুটবলার বাছায়ের জন্য দেশব্যাপি আয়োজন করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।

খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফরিদপুর জেলা দলের ম্যানেজার কামরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা ভেন্যুর ডিসিপিলিনারী কমিটির সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযোগ যথোপযুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ গ্রহণ করেননি বাফুফে কর্মকর্তা ও টুর্নামেন্ট কমিটির সচিব কাজী আলতাফ-উল-হক। এ বিষয়ে কাজী আলতাফুল হক খেলা শেষে সাংবাদিকদের নিকট বলেন, বাইলজ অনুযায়ী ম্যাচ শেষ হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ১,০০০/- (এক হাজার টাকা) ফিস জমা দিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে হবে। কিন্তু ফরিদপুর টিম ম্যানেজমেন্ট তা করেননি। তারপরও বাইলজ অনুযায়ী কোনো দলের খেলোয়াড়ের বয়স সম্পর্কে সন্দিহান হলে সে খেলোয়াড় বাতিল করার বিধান আছে। সে বিধান মতে প্রথমার্ধের খেলা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা দলের ৬ জন খেলোয়াড়কে অযোগ্য বলে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তী ম্যাচে আরো কয়েকজন খেলোয়াড় বাতিল হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা দল থেকে।

খেলোয়াড়দের ওভার এইজ (বয়স বেশি) বিষয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা দলের কোচ আসলাম চৌধুরী বলেন, আমার খেলোয়াড়দের বয়স যাচাইবাছাই করেছে বাফুফ’র মেডিক্যাল টিম। বিধায় বয়স বেশির বিষয়টি সঠিক নয়।

এদিকে খেলা শেষে ফদিরপুর জেলা দলের ম্যানেজার কামরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা দলের খেলোয়াড়দের বয়স বেশি বলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সেই সাথে ডিসিপিলনারি কমিটির সচিব বরাবর যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তার একটি ছায়াকপি জমাদেন সাংবাদিকদের নিকট। খেলা চলাকালীন সময়ে ফুটবল দর্শকরা বাফুফ’র মেডিকেল টিম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে বলেন, কি এমন যন্ত্র দিয়ে নারায়ণগঞ্জের খেলোয়াড়দের মেডিক্যাল করা হলো যে, ১৬-১৭ বছরের খেলোয়াড়দের বয়স অনূর্ধ্ব-১৫ বলে বিবেচিত হলো। ফুটবলপ্রিয় দর্শকরা নানা স্লোগান দিয়ে বলতে থাকেন, দাদার সাথে নাতির দলের খেলা হলে গোলোৎসব তো হবেই। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রকৃত বয়সের খেলোয়াড়রা যাতে খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য টুর্নামেন্ট কমিটির সচিব ও বাফুফে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চুয়াডাঙ্গার ফুটবলপ্রিয় দর্শকগণ।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে বেশ দর্শকের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। দর্শকসারীতে উপস্থিত ছিলেন কৃতীফুটবলার আশরাফ জোয়ার্দ্দার সাবু, ডিএফ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাড্ডু, সদস্য ওবাইদুল হক জোয়ার্দ্দার, হামিদুর রহমান সন্টু, সাইদুর রহমান মালিক, বদর খান, নুরুন্নাহার কাকলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার, ফুটবলার নাজমুল হক শান্তি, সালাউদ্দীন আহম্মেদ, মুরাদ, তরু, আশা, ইমরান, সোহেল, আশাদুল প্রমুখ। খেলাটি পরিচালনা করেন ইয়াকুব হোসেন মল্লিক, জসিম আক্তার, এসএম সোহেল ও ইকতিয়ার আহম্মেদ।