ঢাকায় পৌঁছেছে আফগান দল

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢাকায় এসেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। গতকাল বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে আফগানিস্তান দলকে বহনকারী বিমান।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আফগানিস্তান দল দেশ ছেড়েছিলো গত ৫ সেপ্টেম্বর। আবহাওয়া-পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এই দু সপ্তাহ আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছে ভারতে। সেখান থেকেই সরাসরি বুধবার ঢাকায় পা রাখলো আফগানরা।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম অনুশীলনে নামবে আফগানিস্তান। আগামীকাল শুক্রবার ফতুল্লায় বিসিবি একাদশের বিপক্ষে খেলবে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। আগামী ২৫ ও ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তিনটি ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।

এদিকে এ সিরিজটা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম সিরিজ। এ নিয়ে আফগানরা স্বভাবতই খুব উচ্ছ্বসিত। এসিবি প্রধান নাসিমুল্লাহ দানিশ এ সফরের সূচি জানানো খবরে বলেছেন, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে এটাই হবে প্রথম সিরিজ। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আমরা উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দেয়ার অপেক্ষায় আছি। দলের উন্নতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলাটা জরুরি। সেটা করার জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ বলে এটা বাড়তি একটা তাৎপর্যের ব্যাপার আফগানদের জন্য। অন্য দিকে, বাংলাদেশের জন্যও এটা দারুন গুরুত্বপূর্ন একটা সিরিজ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট-ওয়ানডে না খেলে বাংলাদেশ দলই পারফরম্যান্সে মরিচা ধরে যাওয়ার একটা ভয় পাচ্ছিলো। গত কিছুদিন ধরেই সব খেলোয়াড় বলছিলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার আগে এ ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাবই মূল দুশ্চিন্তার ব্যাপার। সেটা কাটাতেই যে আফগানিস্তান সিরিজ আয়োজন করা হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও লুকায়নি। খোদ বোর্ড সভাপতি এ সফরের সূচি নিশ্চিত করার দিনে বলছিলেন, এমন একটা সিরিজের চাহিদা ছিলো খেলোয়াড়-কোচদের কাছ থেকে। তিনি সে সময় কোচের সাথে বসেছিলেন। খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলেলেছেন। সবাই একটা ব্যাপার বলছে যে, ইংল্যান্ড আসার আগে কয়েকটা ম্যাচ খেলা হলে ভালো হয়।

বোর্ড সভাপতি নিজেও অনুভব করছেন যে, বাংলাদেশের নিজের ফর্মে ফিরতে কয়েকটা অনুশীলন ম্যাচের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি কোচ ও খেলোয়াড়দের কাছ থেকেও চাহিদা আসায় তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়েছে। এ সিরিজটা কেবল খেলোয়াড়দের নয়, আয়োজকদেরও প্রস্তুতির সিরিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে যে দারুন নিরাপত্তা আয়োজন থাকবে, তার একটা মহড়াও আফগানিস্তান সিরিজে হয়ে যাবে।