কুমিল্লার জয়ের ধারা ভাঙলো রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা পাঁচ ম্যাচ জেতার পর গতকাল শনিবার পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। কুমিল্লাকে ৩০ রানে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। এ জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠস্থানে উঠে এলো রাজশাহী। আর দ্বিতীয় স্থানেই থাকলো কুমিল্লা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামির ১৪ বলে অপরাজিত ৪৭ রান ও পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ সামির ৪ উইকেট শিকারের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসরে চট্টগ্রাম পর্বের তৃতীয় ও টুর্নামেন্টের ২৭তম ম্যাচে রাজশাহীর কাছে পরাজিত হলো কুমিল্লা। এই হারে ৭ খেলায় ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই থাকলো কুমিল্লা। আর ৮ খেলায় ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে উঠে এল রাজশাহী।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে ৪৩ রানের জুটি পায় রাজশাহী। ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথ ১৯ করে ফিরলে মুমিনুল হকের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে রাজশাহীর। দলীয় ৪৭ রানে ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন মুমিনুলও।

এরপর ইংল্যান্ডের লুক রাইট, জাকির হাসান ও নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্রাঙ্কলিনের ব্যাটে ঘুরতে থাকে রাজশাহীর রানের চাকা। তবে সেটি ধীরগতির ছিল। তাই ১৭ ওভার শেষে রাজশাহীর রান ছিল ৫ উইকেটে ১২৯। এখান থেকে দলকে ১৮৫ রানে নিয়ে যান অধিনায়ক স্যামি।

কুমিল্লার মিডিয়াম পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকে ৩২ রান নেন স্যামি। ওই ওভারে ৪টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার এটি। শেষ পর্যন্ত ১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন স্যামি। এছাড়াও রাজশাহীর পক্ষে রাইট ৪২, জাকির ২০ ও ফ্রাঙ্কলিন ১৪ রান করেন। কুমিল্লার সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট নেন। প্রথম ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

জয়ের জন্য ১৮৬ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসেন তারা। পরবর্তীতে পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিলেন লোকাল বয় কুমিল্লার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মালিক ফিরে গেলেও, এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।

তবে ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১২৫ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ফিরে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কুমিল্লার ইনিংস। ফলে ১৫৫ রানে অলআউট হয় তারা। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন তামিম। এছাড়া হাসান আলী ১৬ ও ইংল্যান্ডের জশ বাটলার ১৫ রান করেন। রাজশাহীর সামি ৯ রানে ৪ উইকেট নেন।