হাফেজ বদিউল আলমের স্বীয়পদে যোগদান বেআইনি ও অবৈধ বলে দাবি করেছেন

চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ফাজিল মাদরসার সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর মালিক এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বদিউল আলমের সনদ অনুযায়ী চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর, তা হলে ৬ ডিসেম্বরের সভায় চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয় কীভাবে? যদিও জানামতে ৬ ডিসেম্বর সভা হয়নি। শুনেছি সভাটি হয়েছে ৯ ডিসেম্বর।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে হুমায়ুন কবীর মালিক বলেছেন, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা সচিবলায়য়ের উপসচিব, নিরীক্ষা অধিদপ্তর. উপপরিচালক ও ইসলামx বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেজিস্ট্রারের তদন্ত সাপেক্ষে তার সাটিফিকেট জাল/বয়স কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মাদরাসা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত বহিষ্কৃত হয়ে আছেন। এ বিষয়ে তিনটি মামলাও বিচারাধীন। চলমান মামলা উপেক্ষা করে বদিউল আলম উচ্চাদালতে রিট পিটিশন করেন। মাদরাসার সভাপতি হিসেবে তার চাকরি বৈধ নয় মর্মে একটি রিট পিটিশন করায বদিরুল আলমের রিট পিটিশিন উচ্চ আদালত কর্তৃক আগামী ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়। এরই মধ্যে কমিটিপর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। প্রস্তাবিত নামের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয় কর্তৃক একটি কমিটি গত ২৯ নভেম্বর অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দেয়।

হুমায়ুন কবীর মালিক ওই অ্যাডহক কমিটিকেও ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলেছেন, হাফেজ মো. বদিউল আলমের মহাপরিচালক শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলি নথিতে যা পাওয়া যায় তাতে বয়স কারচুপি করার পরও ১ ডিসেম্বর ২০১৪ তালিকে চাকরির মেয়াদ শেষ ও কার্যক্রম নাই মর্মে উচ্চ আদালতে উক্ত রিট আদেশটি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। মহামান্য হাইকোর্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর কমিটির মেয়াদ ও বদিউল আলমের চাকরির মেয়াদ শেষ পর্যালোচনা সাপেক্ষে এবং নিম্ন আদালতে তিনটি মামলা চলমান জেনে উক্ত রিট প্রত্যাহার বা উক্ত আবেদনের বিপরিতে পুনর্বহাল আদেশ দানে বিরত থেকে ফাইলটি নভিভুক্ত রাখেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশই দেন তা হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেই অত্র মাদরাসায় আসার কথা। ৩০ নভেম্বর কোনো আদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে অত্র মাদরাসার সভাপতি বরাবর এসেছে কি-না, আসা সম্ভব কি-না? বর্তমান অ্যাডহক কমিটি ২৯ নভেম্বর অনুমোদনের দিন মাদরাসার সভাপতি ও মেয়র রাষ্ট্রীয় সফরে ফিলিপাইনের উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন। ফেরেন ৬ ডিসেম্বর। ওইদিন সারাদিন রেডক্রিসেন্ট চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাধারণ সভা ছিলো। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র। যতোদূর জানি ৬ ডিসেম্বর মাদরাসা কমিটির কোনো সভা হয়নি। কমিটির মিটিং হয় ৯ ডিসেম্বর। যেহেতু ১ ডিসেম্বর মো. বদিউল আলমের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেহেতু ২২ ডিসেম্বর একটি পত্রিকায় ও ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত অধ্যক্ষ হাফেজ বদিউল আলম স্বীয়পদে পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রদান সংক্রান্ত মাদরাসার অ্যাডহক কমটির সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অবৈধ।