সকলের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে সুস্থ সুন্দর শৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক

 

নজরুল ইসলাম: সকলের সহযোগিতা ছাড়া সুস্থ ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে না। তাই পরিবার সমাজ ভালো রাখতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সমাজ উন্নয়নে বাল্যবিয়ে একটি চরম বাঁধা। ভ্রান্ত ধারণার কারণে কন্যার বয়স হবার আগেই বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দেয় তার পরিবারের লোকজন। বাল্যবিয়ের এ সামাজিক ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিটি পিতা-মাতাকে হতে হবে সচেতন। নিজের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে পিতা-মাতাকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ গড়তে বর্তমান সরকার মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষা খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ অর্থই বরাদ্দ রেখেছে। ফলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়েছে মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা উপকরণ। গতানুগতিক শিক্ষার পরিবর্তন আনার জন্য বিষয় ভিত্তিক ছবিযুক্ত কন্টেইন তৈরি করে তা শ্রেণিকক্ষে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি চোখে দেখে বেশি দিন স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে। শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানেরা যেন মাদকাশক্ত না হয়ে পড়ে সে দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রতিনিয়ত অভিভাবককে নিজের সন্তানের খোঁজখবর রাখতে হবে। বিপথে যাওয়ার শুরুতেই প্রতিরোধ করা না গেলে একটি সন্তানই পরিবার এবং সমাজ ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার জন্য যথেষ্ট। আদরের সন্তানটি ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে একদিন সে অর্থের জন্য বড়ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। আর তখন অপরাধ দমন করতে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য থাকবে। এদিকে আদালতে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন স্বল্পেমূল্যে এখান থেকে ন্যায়বিচার পাবে। গ্রামআদালতকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার করণীয় বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, যৌনহয়রানি, আইনশৃঙ্খলা ও মানসম্মত শিক্ষা সম্পর্কিত মতবিনিময় ও ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এ কথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, বাল্যবিয়ে ১৮২৯ সালের সতীদাহ প্রথার চিতার আগুনের চেয়েও ভয়াবহ। চিতার আগুন জ্বলে ক্ষণেকের জন্য। বাল্যবিয়ের আগুন জ্বলে বেঁচে থাকা পর্যন্ত। বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুরুল ইসলাম, আকছেদ আলী, ইউনিয়ন সিবিও সভাপতি মহব্বত আলী, শিক্ষক আফসার উদ্দিন, ফজলুর রহমানসহ, ইমাম, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, কাজী প্রমুখ। ইউপি সচিব ফয়জুর রহমানের উপস্থাপনায় কোরআন তেলাওয়াত করেন বলদিয়া মসজিদের ইমাম আবুল ফাতাহ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।