রঙকরা পুরোনো ট্রান্সমিটার দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে রঙকরা ট্রান্সমিটার দিয়ে ২৩ জন গ্রাহকের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের কথিত হেলপার দোস্ত গ্রামের আশরাফুল ও দামুড়হুদার ওমিদুলের বিরুদ্ধে। এ সকল অসাধু ব্যক্তির বিদ্যুত বিভাগের সাথে কোনো প্রকার সম্পৃক্ত না রাখারও দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর বেলেমাঠপাড়ায় ২৩ জন পল্লী বিদ্যুতের নতুন গ্রাহক দেড় মাস আগে সোনার হরিণ নামক বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পান। গ্রাহক আ. সামাদ পাতা, মোফাজ্জেল হোসেন, আবুল হোসেন, হোসেন আলী, আমীর হোসেন ও হযরত আলী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন খুঁটি, তার ও ওয়ারিং করা হলেও ট্রান্সমিটারের অভাবে বিদ্যুত সংযোগ পাচ্ছিলাম না। ট্রান্সমিটার না পেয়ে দর্শনা পল্লী বিদ্যুত অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ট্রান্সমিটারটি দোস্ত গ্রামের ইসমাইল প্রধানের ছেলে পল্লী বিদ্যুতের কথিত হেলপার আশরাফুল প্রধান ও দামুড়হুদা বাজারপাড়ার ওমিদুল হাতিয়ে নিয়েছে। কুন্দিপুর বেলেমাঠপাড়ার বরাদ্দকৃত ট্রান্সমিটার আশরাফুল কিভাবে হাতিয়ে নিলো এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তৎকালীন কর্তব্যরত কর্তবাবুরা বলেন, আশরাফুল ও ওমিদুলের সাথে মিট করে নেন।  কর্তবাবুদের কথামতো ট্রান্সমিটার উদ্ধারের জন্য তাদের কাছে ধর্ণা দিতে থাকি। একপর্যায়ে দরকষাকষি করে ৩২ হাজার টাকা দিলে আশরাফুল ট্রান্সমিটারটি বিদ্যুতের খুঁটিতে লাগিয়ে বকশিস হাতে পেয়ে সংযোগ লাগিয়ে দেয়। দেড় মাসের মাথায় টাকার বিনিময়ে আশরাফুলের দেয়া ট্রান্সমিটারটি নষ্ট হয়ে যায়। গত শুক্রবার ট্রান্সমিটার নিয়ে অর্থবাণিজ্য এবং প্রতারণা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে দর্শনা অফিস কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং একটি নতুন ট্রান্সমিটার লাগিয়ে দেয়। এদিকে নষ্ট হওয়া ট্রান্সমিটারটি অপসারণ করতে গিয়ে বিদ্যুত বিভাগের লোকজন জানতে পারে পুরোনো ৫ কেবির ট্রান্সমিটারের গায়ে রঙ করে ১০ কেবি লিখে ওই সময় সরবরাহ করেছিলো আশরাফুল ও ওমিদুল। বিষয়টি গ্রাহকরা জানতে পারলে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা অফিসের এজিএম বলেন, আমি নতুন এসেছি। আশরাফুল সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই। ওয়ারিং ইন্সপেক্টর শাজাহান জানান, আশরাফুল ও ওমিদুল পল্লী বিদ্যুতের কেউ নন। এ ব্যাপারে আশরাফুল তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে কুন্দিপুর গ্রামের গ্রাহকরা কোনো টাকা লেনদেন করেনি ওমিদুলের সাথে করেছে। এদিকে এ সমস্ত পল্লী বিদ্যুতের হেলপার, ইলেকট্রিশিয়ান পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের কারণে গ্রাহকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে দিকটি বিদ্যুত বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন এমনটাই দাবি ভুক্তভোগী মহলের।