মহেশপুরে বাজারের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর বাজারের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে বলেছেন, ওই নেতা বাজারের প্রায় ৬ শতক জমি দখল করে তার ওপর ৪টি পাঁকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে বাজারের জায়দা দখল হয়ে গেলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ সাধারণ ব্যবসায়ীরা এ সকল জায়গায় খোলা দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে থাকেন। অবশ্য রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন এ স্থানে তার পুরাতন দোকান ছিলো। সেটা একটু ভালো করে নির্মাণ করছেন মাত্র। তাছাড়া জায়গা নিয়ে বিতর্ক আছে। আদালতে মামলা করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশপুর উপজেলার যেকটি বৃহৎ বাজার রয়েছে জিন্নানগর তার মধ্যে একটি। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এ বাজারটির নানা কারণে প্রসার ঘটেছে। বাজারের সাথেই রয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে একটি গার্মেন্টস কারখানা। এ বাজারে ৫ থেকে ৬শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চালকল রয়েছে বেশ কয়েকটি। বাজারটির মাঝামাঝি মেন সড়কের ধার ঘেঁষে প্রায় ৬ শতক জমি দখল করেছেন স্থানীয় কাজিরবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম ওরফে রবিউল কাজী। তিনি বাজারের ওই জায়গা দখল করে দু মাস পূর্বে দোকান নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানালে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। কিছুদিন এভাবে বন্ধ রেখে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারো নির্মাণ শুরু করেছেন। দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, জমিটি সরকারের ১/১ খতিয়ানভুক্ত। তাছাড়া পেরিফেরি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে তিনি ঘর করতে পারেন না। ওই ব্যবসায়ী জানান, যে স্থানে ঘর করা হচ্ছে তার সামনেই সাপ্তাহিক বাজারের দিন দোকান বসে। এ পাঁকা মার্কেট তৈরী হলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া বাজারের জায়গা সংকোচিত হয়ে যাবে। এতে বাজারের সোন্দর্য নষ্ট হবে। তিনি বলেন রবিউল কাজী সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তারপরও এলাকার কথা চিন্তা করে ইতঃপূর্বে ব্যবাসয়ীরা বাঁধা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আবারো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে কাজিরবেড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আকরামুজ্জামান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন জায়গাটি বাজারের পেরিফেরি ভুক্ত। বিধায় এখানে পাঁকা ঘর করার সুযোগ নেই। মহেশপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না। এখন জানলেন এবং পদক্ষেপ নেবেন বলে উল্লেখ করেন।