বিদেশি টুকরো

সৌদি নারীর ব্যবসা করতে পুরুষের অনুমতির দরকার নেই

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এখন থেকে স্বামী বা অন্য কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা। গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরব সরকার এ ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরে চলা কঠোর অভিভাবকত্ব ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন হলো।

দেশটির বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ‘অভিভাবকের সম্মতি প্রমাণ করা ছাড়াই নারীরা এখন তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করবে এবং সরকারের ই-সেবা থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে।’

সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব নীতি অনুযায়ী, যেকোনো প্রশাসনিক কাজ, কোথাও ভ্রমণ অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে স্বামী, বাবা বা ভাইয়ের অনুমতি প্রমাণ করতে হতো। সম্প্রতি সৌদি সরকার দেশটির বেসরকারি খাতকে প্রসারিত করার পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে।

সৌদির ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং সৌদি যুবসমাজের জন্য একটি ‘মুক্ত ও স্বাধীন’ দেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার নারীদের ওপর আগের আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়। সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় এই মাসে ঘোষণা করে, প্রথমবারের মতো তারা নারী তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের কাজ শুরু করবে।

এছাড়া দেশটির বিমানবন্দর এবং সীমান্তে ১৪০ জন নারীকে নিয়োগ করা হয়েছে। সৌদি সরকার জানায়, সৌদির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক লাখ সাত হাজার নারী চাকরির আবেদন করেছেন।

ইরান বিশ্বের জন্য বড় হুমকি : নেতানিয়াহু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরানকে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মন্তব্য করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রোববার জার্মানির মিউনিখে চলমান নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ হাতে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ড্রোনটি ইরান ইসরায়েলে পাঠিয়েছিলো দাবি করে তিনি বলেন, ইসরায়েল তার আশপাশের অঞ্চল নিয়ে ইরানকে নাক গলাতে দেবে না।

বক্তব্যে নেতানিয়াহু ২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিকে জার্মানির নাৎসি বাহিনী নিয়ন্ত্রণের জন্য করা মিউনিখ চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে বিপজ্জনক ইরানি বাঘকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জাফরিকে মিথ্যাবাদী বলে অ্যাখ্যা দেন নেতানিয়াহু।

রাশিয়ার চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫

মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাশিয়ার একটি চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় কমপেক্ষ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক নারী, দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত চারজন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কিজলার শহরের চার্চটিতে গত রোববার সন্ধ্যায় প্রার্থনা শেষে বের হওয়ার সময় বন্দুকধারী অতর্কিতে গুলি ছোড়া শুরু করে। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হন। যদিও তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর কিজলারে মূলত নানা সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। তবে অন্য সম্প্রদায়ের চেয়ে এখানে মুসলিমদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

ধর্ষকদের থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের আসামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। গতকাল সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলো ওই দুই শিশু। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় চা বাগানের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে শিশুটির গলা কাটা নগ্ন দেহ পাওয়া যায়। ধর্ষণের পর থেকে বাগানের দু’শ্রমিক পলাতক ছিলো। পরে  রোববার টেঙাপানি গ্রাম থেকে সঞ্জয় সুবুর (৩০) ও জগদীশ লোহার (২৫) নামে অভিযুক্ত দু’শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত দুজনই দোষ স্বীকার করেছে। তারা জানায়, ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি চিৎকার করছিলো। তাই তার মাথা কেটে দেয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হলেও স্থানীয় উপজাতিরা দাবি করে অপরাধীদের তাদের হাতে তুলে দিতে।

অবস্থা খারাপ দেখে পুলিশ নিরাপত্তার জন্য অভিযুক্তদের ফাঁড়ি থেকে তেজু থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সোমবার ভোর থেকে সশস্ত্র উপজাতিরা থানায় আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা দরজা ভেঙে সুবুর ও লোহারকে থানা থেকে বের করে তাদের নগ্ন করে শহর ঘুরায়। এরপর শহরের প্রাণকেন্দ্রে  পিটিয়ে সবার সামনে  হত্যা করে।

ভারতে বোমা বিস্ফোরণে কংগ্রেস নেতাসহ নিহত ৪

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগামী সপ্তাহে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তবে রোববার রাতে সেখানে একটি বোমার বিস্ফোরণে কংগ্রেসের একজন প্রার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী জনাথন এন সাংমা, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও দুইজন পার্টি কর্মী নিহত হয়েছেন। একটি নির্বাচনী প্রচার শেষে ফেরার পথে পূর্ব গারো পাহাড়ে ওই বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ বলছে, এলাকাটিতে সক্রিয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। জেলার ম্যাজিস্ট্রেট রামকুমার এস বলেছেন, এনসিপি প্রার্থীসহ চারজনের মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইটে লিখেছেন, জনাথন সাংমা অনাকাক্ষিত মৃত্যুর খবর শুনে গভীরভাবে শোকাহত। তার মতো কাছের মানুষের মৃত্যুতে কষ্ট অনুভব করছি। রাজ্যের শত্রুদের হামলায় নিরপরাধের রক্ত ঝরলেও মেঘালয়ের শান্তি নষ্ট হবে না।

লোকসভায় শিলং থেকে নির্বাচিত মেঘালয় কংগ্রেস ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট পালা বলেন-আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। জনাথনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। মেঘালয়ের মতো রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

বিজেপি এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, এনসিপি নেতা জনাথন এন সাংমা ও তার সহযোগীদের মৃত্যুতে তাদের কাছের মানুষদের সমবেদনা জানাই। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এ ধরনের খবর মারাত্মক উদ্বেগজনক। এদিকে স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনাথন ২০১৩ সাল থেকেই মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন। সেজন্য তার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছিলো। উল্লেখ্য, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬০ সদস্য বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।