প্রোভিসির নামে ইবির ৫ শিক্ষকের জিডি

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং-৮৪৬। এর আগে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ওই ৫ শিক্ষকের নামে একটি জিডি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানের নামে একটি জিডি করেন। ৫ শিক্ষকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন এ জিডি করেন। জিডির পক্ষে অন্য শিক্ষকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ (একাংশ) সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। জিডিতে উল্লেখ করা হয়-গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সুস্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জিডি করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের (আওয়ামীপন্থি ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের দুটি সংগঠন) নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অসত্য ও আপত্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে করে দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দের চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়েছে যা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়। জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষকদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলেছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ড. শাহিনুর রহমান ভবিষ্যতে শিক্ষকদের বড় ক্ষতি করতে পারেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার (ইবি থানা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১ দফা অভিযোগ এনে তাকে অপসারণ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরকে মদদদাতা, যৌন নির্যাতনে বিভাগের এক ছাত্রীকে হত্যা, পিএইচডি জালিয়াতি, একাডেমিক ও আর্থিক দুর্নীতিসহ ১১ দফা অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীসহ ৫ শিক্ষকের নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় জিডি করেন। একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের নামে গত ২৮ এপ্রিল উপ-উপাচার্যের পক্ষ থেকে একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।