প্রথম অস্থায়ী রাজধানী দিবস উদযাপন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: ১০ এপ্রিল প্রথম রাজধানী দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থা-অবস্থান ও স্থানীয় নেতৃত্বের দুঃসাহসী ভূমিকার কারণে জাতীয় নেতৃত্ব ১০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা শহরকে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন এবং বিপ্লবী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হলে শপথের স্থান সীমান্ত সংলগ্ন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে স্থানান্তরিত হয়। ঐতিহাসিক শপথ গ্রহণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি যে অকুতোভয় মানুষ, তাদের দুঃসাহসী নেতৃত্ব ও সংগ্রামী জনপদ ১০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ‘অস্থায়ী রাজধানী’র যে মর্যাদা পেয়েছিলো তা ৪৫ বছরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাবাসী হিসেবে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হতে পারি না। তাই ‘প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ১০ এপ্রিল প্রথম অস্থায়ী রাজধানী দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি ও ২৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম কার্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির সভায় ১০ এপ্রিল দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে এবং চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের মানুষকে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ আহ্বান করা হয়েছে।  উপদেষ্টা কমিটিতে আছেন- জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবু হোসেন ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক অ্যাড. শহীদুল ইসলাম। প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা দিবস উদযাপন আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন- হাজি ওয়ালিউর রহমান মালিক টুল্লু (আহ্বায়ক), নূরুল ইসলাম মালিক (যুগ্মআহ্বায়ক), সদস্য আ. শু. বাঙালী, আজাদ মালিতা, অ্যাড. আলমগীর হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, মুন্সী জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, সরদার আল আমিন, তসিরুল আলম মালিক ডিউক, আনোয়ার হোসেন, শরীফুল ইসলাম, আব্দুস সালাম তারা, মনিরুজ্জামান মনি, মরিয়ম শেলী, বিল্লাল হোসেন, কাজল মাহমুদ, রিচার্ড রহমান, আসাদুজ্জামান শিমুল, ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, শাহীন সুলতানা মিলী, সাহেদুজ্জামান খোকন, কিশোর কুমার কুণ্ডু, হাবিবি জহির রায়হান (সদস্য সচিব) প্রমুখ।