দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: অভিনব কায়দায় গত কয়েকদিন ধরে হাতির পিঠে চড়ে কার্পাসডাঙ্গা বিভিন্ন হাটবাজারের দোকান থেকে চাঁদা আদায় করছে মাহুত সোহেল। ফলে এটি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। গত কয়েকদিন ধরে বিশালাকৃতির একটি হাতির পা পড়ে কার্পাসডাঙ্গা প্রাণকেন্দ্রে। যুবক বয়সী মাহুত হাতিটির পিঠে চড়ে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের অলিগলির প্রায় প্রতিটি দোকানে হানা দেয় চাঁদার জন্য। দোকানের ভেতরে হাতির লম্বা সুড় ঢুকিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। আতঙ্কিত দোকানিরা কালবিলম্ব না করেই ১০-২০ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে বিদায় করেন হাতিকে। সুড়ে গুঁজে দেয়া চাঁদার টাকা পিঠে বসা মাহুত সোহেলের হাতে তুলে দেয় হাতিটি। চাঁদা দেয়ার বিনিময়ে সুড় উঠিয়ে ব্যবসায়ীদের সালামও দেয় হাতি। আবার টাকা দিতে দেরি হলে বা না দিলে হুঙ্কার দিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। হাতির পিঠে চড়ে চাঁদা আদায়কারী যুবক জানায়, এটি তার সার্কাসের হাতি। এখন কোথাও মেলা বা সার্কাস না হওয়ায় টাকার অভাবে হাতিটির খাবার জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এর খাবারের বন্দোবস্ত করতেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছি। দোকানদারসহ মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা তোলা চাঁদাবাজি নয় দাবি করে ওই যুবক জানায়, মানুষ স্বেচ্ছায় প্রাণিটির খাদ্যের জন্য টাকা-পয়সা দান করেন। এদিকে বাজারে দোকানে দোকানে হাতিতে চড়ে চাঁদা আদায়ের খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আসাদুজ্জামান দ্রুত এসে হাতিটি নিয়ে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর যুবকটি অন্যত্র চলে যায়।