দামুড়হুদার অভাগী মায়ের করুণ আকুতি : ওগো কে আছো চয়নকে লেখাপড়ায় সহযোগিতা করো

স্টাফ রিপোর্টার: ওগো কে আছো দেশ-বিদেশে প্রতিবন্ধী চয়নকে লেখাপড়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার। আপনার সার্বিক সহয়োগিতায় আমার ছেলের জীবন গড়ে দিতে পারে। এ কথাগুলো ছিলো এক হতদরিদ্র অভাগী মায়ের করুণ আকুতি।

জানা গেছে, চুযাডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়ার আলম আলীর ছেলে চয়ন প্রতিবন্ধী হয়ে অভাবী সংসারে জন্মগ্রহণ করে। জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হলে অভাব অনাটনের সংসার ছিলো তাদের নিত্যসঙ্গী। মা করিমন বলেন, ছেলে রোগমুক্ত করতে গ্রাম্যডাক্তার বৈদ্য কবিরাজসহ নানাজনের পানি পড়া তেল পড়া ও পীরের দরগায় শিন্নি মানত দিয়েও তার রোগমুক্ত করতে পারেনি। নানাজনের কুসংস্কারের কথা আর অর্থাভাবে কোনো ভালো ডাক্তার তার কাপালে কখনো জুটেনি। বয়ো বৃদ্ধির সাথে শরীরের কোমর থেকে পা পর্যন্ত বিকলঙ্গ পড়ার কারণে সে কোনো দিন একা পথ চলতে পারেনি। কোনোক্রমে টেরা বেকা হয়ে দাঁড়াতে পারলেও পথ চলতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মাটিতে। সবার সহযোগিতায় গ্রামের স্কুল থেকে প্রাইমারি পাশ করিয়ে উপজেলা সদরে দামুড়হুদা হাইস্কুলে ভর্তি করে দিই। স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক সহয়োগিতায় বিনা-বেতনে স্কুলের লেখাপড়ার সুয়োগ করে দিয়েছে। চয়ন দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসিতে বিষয়ওয়ারি ভালো ফলাফলের জন্য নিয়মিত প্রাইভেট পড়াতে হবে। বই-খাতা-কলম কিনতে গেলে সেদিন বাবার সারাদিনের মজুরির টাকা শেষ হয়ে যায়। এসএসসির ভালো ফলাফলের জন্য চাই নিয়মিত স্কুলে আসা প্রাইভেট পড়া আর রোজ নিয়মিত পড়াশোনা করা। স্কুলের উপবৃত্তির টাকা পেলে বই খাতা কলম কিনে যা থাকে তার মধ্যে থেকে কিছু কিছু টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ার খরচ মেটালেই সব শেষ। অভাব অনটন আর প্রতিবন্ধীর লেখাপড়া করাতে গিয়ে দীর্ঘদিন হিমসিম খাচ্ছি। তাই সবার কাছে দাবি- আমার এই প্রতিবন্ধী ছেলেকে লেখাপড়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার। ঠিকানা- চয়ন, পিতা আলম আলী, গ্রাম- জয়রামপুর শেখপাড়া, পোস্ট+উপজেলা: দামুড়হুদা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা। মোবা: ০১৯৮৬৮৫০৯২৫।