দর্শনাবাসীর কাঙ্খিত প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে দেড়কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ হবে বাস টার্মিনাল

দর্শনা অফিস: দর্শনাবাসীর একাধিক প্রাণের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দর্শনায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ। অবশেষে দর্শনাবাসীর আরো একটি কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে টার্মিনাল নির্মাণের অনুমতি মিলেছে। অবৈধ স্থাপনা খালি করার জন্য দেয়া হয়েছে তাগিদ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, দর্শনার কৃতি সন্তান মাহফুজুর রহমান মনজু উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ধারাবাহিকভাবে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম তরান্বিত করছেন। এবার দর্শনাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিলেন তিনি। অচিরেই দর্শনা রেলবাজার সড়কের যানজট মুক্ত হচ্ছে। দর্শনাকে উপজেলায় উন্নীতকরণ, স্থলবন্দর স্থাপন ও বাস-টার্মিনাল নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি স্বপ্ন দর্শনাবাসীর। এ স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা নিয়েছেন মাহফুজুর রহমান মনজু। মাস তিনেক আগে তিনি দর্শনায় বাস টার্মিনাল নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগে অনুষ্ঠিত সভায় সারাদেশে ১০টি স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের চৌরাস্তা মোড়ের জেলা পরিষদের নিজস্ব ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮৫ ফুট প্রস্ত জমিতে বাস টার্মিনাল স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব জুবাইদা নাসরীন সাক্ষরিত পত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। সে মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাহফুজুর রহমান মনজুসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, প্রকৌশলী আ. সামাদ, সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান, দর্শনা পৌর কাউন্সিলর সাহিকুর রহমান অপু, আ.লীগ নেতা ইদ্রিস আলী, ঠাণ্ডু মিয়া প্রমুখ। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য আগামী মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার পরপরই বাউন্ডারী প্রাঁচিল নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহফুজুর রহমান। বাসটার্মিনাল নির্মাণের প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায় হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দর্শনাবাসীর কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।