ডিগ্রি কলেজকে বঞ্চিত করে মহিলা কলেজ জাতীয় করণের ঘোষণায় জীবননগরে নেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ জাতীয়করণের সংবাদে এ উপজেলাবাসীর মনে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠেনি। যোগ্যতার দিক থেকে ডিগ্রি কলেজ শতভাগ এগিয়ে থাকলেও অদৃশ্য কারণে জাতীয়করণ থেকে এ কলেজটিকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বঞ্চিত ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন। কলেজ জাতীয়করণ সঠিকভাবে করা হয়নি এমন অভিযোগ এনে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউএনও’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এছাড়ও গ্রহণ করা হচ্ছে আইনী প্রক্রিয়াও। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এ সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা হচ্ছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষে প্রভাষক জসিম উদ্দিন জালাল জানিয়েছেন।

ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী আখতার জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে জীবননগর শহরের হাইস্কুল সংলগ্ন জীবননগর ডিগ্রি কলেজ স্থাপিত করা হয়। বর্তমানে এ কলেজে ছাত্রছাত্রী সংখা ১ হাজার ৮শ। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ২শ ও ছাত্রী ৬শ। ৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটিতে সুপরিসর খেলার মাঠ, ১ তলা প্রশাসনিক ভবন, দোতলা বানিজ্য ও কলা ভবন, তিনতলা বিজ্ঞান ভবন এবং নির্মাণাধীন ৪ তলা আইসিটি ভবন রয়েছে। বিএনসিসি, রেভার স্কাউট, দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার ও ৫ হাজার বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ জন।

অপরদিকে শহর থেকে ২ কিলোমিটার দুরত্বে লক্ষ্মীপুরে ২০০৪ সালে জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এর ছাত্রী সংখ্যা ৪শ জন। এক কক্ষ বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, দুই কক্ষ বিশিষ্ট একাডেমিক ও  ৩ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ভবন রয়েছে। পরিপূর্ণ একাডেমিক ভবন ও খেলার মাঠ নেই। এ অবস্থার মধ্যে ছাত্রছাত্রী ও একাডেমিক দিক থেকে সমৃদ্ধ জীবননগর ডিগ্রি কলেজকে বঞ্চিত করে দেশের ১৯৯টি স্কুল-কলেজের সাথে অনিয়মের মাধ্যমে জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ জাতীয়করণের তালিকাভূক্তি করায় এ উপজেলাবাসীর মনে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠেনি।