ঝিনাইদহে একই পরিবারের চোখের রোগে ভুগছেন ১১ : অন্ধ ৪ জন

বাজারগোপালপুর থেকে মনজুর আলম: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে একই পরিবারের ১১ জন  চোখের রোগে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৪ সদস্য পুরো অন্ধ হয়ে গেছে। তারা স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। সাধারণত এই পরিবারে ৩০/৩১ বছর বয়স হলে চোখের সমস্যা দেখা যেত। তবে বর্তমানে ১০ বছরের শিশুর চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যায় পরিবারের লোকজন চরম চিন্তিত হয়ে পড়ছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামে মৃত ইয়াছিন মোল্লার ৪ ছেলে এবং এক মেয়ে। তারা হলেন- শহিদুল ইসলাম (৬৫), মফিজুল হক (৫৫),  আবুল হোসেন (৫০), মনুমিয়া (৪৩) এবং একমাত্র মেয়ে কুলসুমা বেগম (৬৭)। এদের মধ্যে মেয়ে কুলসুমা বেগম, ছেলে মফিদুল হোসেন অন্ধ হয়ে স্বভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়েছেন। অন্য ছেলেরা কোনো করম চোখে দেখে চলতে ফিরতে পারেন। শহিদুল ইসলামের রয়েছে ৩ মেয়ে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে মুর্সিদা খাতুন (৪০) একবারেই অন্ধ হয়ে গেছে। অপর দুই মেয়ে শহিদা বেগম (৩৫), এবং মাসুদা বেগম (৩২) কোনো রকম চোখে ঝাপসা দেখে চলতে পারেন। বড় মেয়ে বিয়ে হলেও দীর্ঘ দিনের অসুস্থ তার কারণে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাড়িতেই আছেন। মফিদুল ইসলামের রয়েছে ২ ছেলে এবং ৪ মেয়ে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে রুপভান (৩৬) এবং মেঝে মেয়ে রশিয়া খাতুন (৩৩) কোনো রকম দেখছেন। আবার মনুমিয়ার পোতা ছেলে শিশু শাকিব হোসেন (১০) চোখের সমস্যায় ভুগছে। একই পরিবারের ১১ জন চোখের রোগের বিষয়টি গ্রামবাসীর মনে প্রভাব পড়ছে। তকে কী কারণে এই চোখের সমস্যা এবিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুস সালামের নিকট মোবাইলেফোনে কল দিলে ফোনটি রিসিভ করেনি। ফলে কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।