চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পর আজ থেকে আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পর এবার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় খোলাবাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুই উপজেলার ৬ ডিলার চাল বিক্রি শুরু করবেন। তবে দামুড়হুদা উপজেলায় শনিবার অথবা রোববার থেকে চাল বিক্রি শুরু করার কথা রয়েছে। এবার সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে খাদ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চুক্তিবদ্ধ ২১২ মিল মালিকের মধ্যে ১৪৪ জন চাল দেয়ার চুক্তিবদ্ধ হলেও চুক্তির বাইরে রয়েছে ৬৮ মিল মালিক। এসব মিল মালিকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯১৩ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাল পাওয়া গেছে মাত্র ২৫৭ মেট্রিক টন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় ৬ ডিলার ৬ টন চাল বিক্রি করবে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাল পাওয়া যায়। আলমডাঙ্গার তিনজন ডিলার হলেন, লালব্রিজের সামনে জয়নাল আবেদীন, এরশাদপুর চাতাল মোড়ে জনি আলম ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সিরাজুল ইসলাম। জীবননগর উপজেলায় প্রাণী সম্পদ অফিসের সামনে আব্দুস সালাম, আধুনিক সিনেমা হলের সামনে শরিফুল ইসলাম ও নারায়নপুর রোডে জাহিদুল ইসলাম ।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৯ ডিলারের মাধ্যমে গত সোমবার থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনদিন সিদ্ধ চাল বিক্রি করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার থেকে আতপ চাল বিক্রি করা হবে। জীবননগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল খালেক বলেন, ৩ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ১ টন করে আতপ চাল বিক্রি শুরু করা হলেও আরও তিনজন ডিলার বৃদ্ধি পাবে।
দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। তবে দামুড়হুদা উপজেলায় আগামী শনিবার অথবা রোববার থেকে শুরু করা হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, সিদ্ধ চালের পরিবর্তে এবার আতপ চাল দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে, সিদ্ধ চালের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। চুক্তিবদ্ধ মিলমালিকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম চাল সরবরাহ করেছে। যারা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।