চুয়াডাঙ্গায় সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তারাই অনুপস্থিত! সচেতন মহলে বিরূপ সমালোচনা

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তারাই অনুপস্থিত! সচেতন মহলে বিরূপ সমালোচনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সরকারি অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তারাই অনুপস্থিত ছিলেন। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও কোরবানি পশু জবাই নিশ্চিতকরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলার ৬৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এটি নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

উপস্থিতি ১৭ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, এনএসআই’র উপপরিচালক জাফর ইকবাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ সিদ্দিক, জেলা সামাজিক বনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামছুল হক, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, সরকারি মুরগি খামারের ব্যবস্থাপক এবিএম সালাহ উদ্দিন, গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোতাসিম বিল্লাহ, জেলসুপার নজরুল ইসলাম, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের জরিপ অফিসার ইকবাল হাসান, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদ হোসেন, এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী তৌকি তাহসীদ রহমান ও জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার। আর বাকি ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাই অনুপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ৬৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সরকারি প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি ইস্যু করা হলেও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তারাই উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে কী কারণে তারা উপস্থিত হননি তা জানা না গেলেও অনেকেই মনে করছেন, অনুপস্থিত সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা ঈদ বাজারে ব্যস্ত থাকার কারণে হয়তো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এটি কি সরকারি আদেশের অবমাননা নয়? যদি অবমাননা হয় তবে, কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন সচেতন মহল।